নলতায় এক বাড়ীতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত
সকলের অগোচরে রাতের আধারে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় মো. হাবিবুর রহমান সরদার (বাবলু) এর বাড়ীতে এক দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। ভুক্তভোগী বাবলু নলতা ইউপির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব এছাহক আলী সরদারের ৪র্থ ছেলে ও জেলা পরিষদের সদস্য এস এম আসাদুর রহমান সেলিম এর আপন ভ্রাতা।
ঘটনাটি ঘটেছে, ১জুলাই’১৮ রবিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় বাবলু সরদারের নলতা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন একতলা বিশিষ্ট নিজস্ব বাসভবনে। দুর্ধর্ষ চুরির মাধ্যমে বাবলু সরদারের নগদ টাকা, স্বর্ণ, রৌপ্য সহ লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গেলে হাবিবুর রহমান সরদার (বাবলু) ও তার স্ত্রী কান্নাজনিত কণ্ঠে জানান, আমাদের ২টি কন্যা মৌমিতা ও সিলভিয়া। বড় মেয়ে মৌমিতা বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়াশুনা করে। আর ছোট মেয়ে সিলভিয়া নলতা শরীফের কে বি আহ্ছানউল্লা জুনিয়র হাইস্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। বিভিন্ন সময়ে বাসাভাড়া, খাওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন ব্যয় তাৎক্ষনিকভাবে প্রয়োজন পড়ে। সে কারণে অতি আত্মবিশ্বাসে অন্যান্য সময়ের ন্যায় সাম্প্রতিক সময়েও বড় মেয়ের লেখাপড়ার খরচ বাবদ টাকা চাওয়া মাত্রই যেন দিতে পারি সেজন্য আমরা অতি গোপনে নিজের একতলা বিশিষ্ট পাকা বিল্ডিংয়ের দক্ষিণ-পূর্ব কোনের তালাবদ্ধ ও দরজা-জানালা আটকানো একটি রুমের স্টিলের আলমারির মধ্যে কিছু নগদ টাকা, স্বর্ণ ও রৌপ্যের গহনা সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে দেই।
এত গোপনীয়তার পরও রবিবার ভোরে ফজরের নামাজের জন্য উঠে দেখতে পাই ঘরের ভিতরের দিকে ভেজানো দরজায় ভিতর থেকে ছিটকিন দেয়া। তখন সন্দেহ হলে ভাল করে চারদিকে ঘুরে দেখি ঘরের পূর্ব দিকের কাঠের মজবুত বাইলয়ের জানালার ছিটকিন বিশেষ ব্যবস্থায় চাড় দিয়ে খুলে জানালার গ্রিল কেটে রুমের ভিতর ঢুকে কে বা কারা স্টিলের আলমারির মধ্য থাকা নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণের গহনা (যার বর্তমান মূল্য ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫শত টাকা) ও রৌপ্যের ৭ ভরি গহনা (যার বর্তমান মূল্য ৫হাজার ৬শত টাকা) চুরি করে নিয়ে গেছে। সর্বমোট আনুমানিক ৮ লক্ষ ৮৩ হাজার ১০০ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সংবাদ পেয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে মো.হাবিবুর রহমান( বাবলু) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।