সাতক্ষীরায় জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে মতবিনিময় সভা
অগ্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সবুর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মুখার্জী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সরকার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ভয়েস অব সাতক্ষীরার সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা হেনরী সরদার।
উম্নুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল, অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আলতাফ হোসেন, প্রভাষক সুশান্ত কুমার প্রমুখ।
মতবিনিময় সভার বক্তারা বলেন, উগ্রবাদ বা জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে বিশেষ করে স্কুল , কলেজ, মাদ্রসার শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি সচেতন করতে হবে। এর পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবকের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বক্তারা বলেন, মার সাথে তার সন্তানের সবচেয়ে নীবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সন্তানের কাছে মা তার পরম বন্ধু। বিধায় মা সমাবেশের মাধ্যমে মাদেরকে সচেতন করতে পারলে তার সন্তান কখনো উগ্রপন্থী হতে পারে না। বক্তারা বলেন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার পাশাপাশি বিভিন্ন এতিমখানা, হাফিজি মাদ্রাসা, কাওমী মাদ্রাসা, বিভিন্ন ছাত্রাবাসে বাড়তি নজর রাখা প্রয়োজন।তাদেরকেও এই প্রকল্পের আওতায় সচেতন করতে হবে।
আলোচকরা বলেন, এক সময় মনে করা হতো যারা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে তারাই শুধুমাত্র বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করছে। কিন্তু গত কয়েক বছরের আলোচিত বেশ কিছু জঙ্গী হামলা বিশ্লেষন করে দেখা গেছে, যারা ইংরেজি মাধ্যমে বা জেনারেল লাইনে লেখাপড়া করেছে তারাও জঙ্গীবাদে জড়িত । বিধায় মাদ্রাসার পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কঠোর নজরদারি করতে হবে। ৮ম শ্রেণী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখা প্রয়োজন। মতবিনিময় সভায় উগ্রপন্থা প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তাসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভার আয়োজকরা জানান, অগ্রগতি সংস্থা ও রুপান্তর যৌথভাবে সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলার ৭৮ টি ইউনিয়নে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় মূলত এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে তারা কয়েকটি জেলায় তা বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার ৪২টি হাইস্কুল, ২৮টি মাদ্রাসা, ২৪টি কলেজ সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যেন উগ্রপন্থী বা জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে নিজেরা ভূমিকা রাখতে পারে। বিভিন্ন সভা সমাবেশ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে সে ভাবেই গড়ে তোলা হবে।