মনোযোগ এবার রাজশাহী-সিলেট ও বরিশাল সিটিতে
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করার পর এবার রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এরইমধ্যে এই তিনি সিটি ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক আহবান করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। আগামী ১২ জুলাই রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে অপর চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ তিন সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সেখানকার বর্তমান অবস্থার খোঁজ নিতে ও নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এই বৈঠক করবে কমিশন।
এতে উপস্থিত থাকার জন্য বুধবার ইসির যুগ্ম-সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত চিঠি মহাপুলিশ পরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ /র্যাব/ আনসার ও ভিডিপি/ ডিজিএফআই/এনএসআইয়ের মহাপরিচালক/ স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ঢাকার অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, তিন সিটি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১৩ জুন এ তিন সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার। যাচাই-বাছাই হবে ১ ও ২ জুলাই, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ ১০ জুলাই। আর ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০ জুলাই।
এ হিসাবে আগামী ৫ অক্টোবর রাজশাহী, ৮ অক্টোবর সিলেট ও ২৩ অক্টোবর বরিশাল সিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষের আগের ছয় মাসের মধ্যে এসব সিটিতে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।