তালায় সরকারি ড্রেন দখল করে দোকানঘর নির্মান করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দু’টি গ্রাম পানি বন্দি
তালায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের উপর আরসিসি পিলার দিয়ে দোকানঘর ও বসতবাড়ী নির্মাণ করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাষণ বন্ধ হয়ে তালা সদরের একাংশসহ পার্শ্ববর্তী অন্তত দু’টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে উপজেলা টিএন্ড টি অফিস,সরকারি বালিকা বিদ্যালয়সহ জনপদের অসংখ্য বাড়ি-ঘর তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গেলে উল্টো দোকানঘর ও বসতবাড়ী দখলকারী জলিল শেখ তাকে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ ও হুমকি প্রদর্শণ করেছে। ঘটনায় বুধবার সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান জলিলের বিরুদ্ধে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী জানায়,তালা সদরের হাসপাতাল সংলগ্ন মৃত আনার আলী শেখের ছেলে জলিল শেখ গত শুষ্ক মৌসুমে রাস্তার পাশের সরকারি ড্রেনের উপর প্রথমত দোকানঘর ও বসতবাড়ী ও পরে আরসিসি পিলার দিয়ে বাড়ির নির্মাণ করায় চলতি বর্ষা মওসুমে গত ২/৩ দিনের ভারী বৃষ্টিতে বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাশিত হতে না পেরে তলিয়ে গেছে।
এতে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়,টিএন্ডটি অফিসসহ পার্শ্ববর্তী অন্তত দু’টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক এলাকায় যাতায়াতের পথ পানিবদ্ধ হয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত জলিল তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও নানাবিধ হুমকি প্রদর্শণ করে। এব্যাপারে বুধবারই সরদার জাকির বাদী হয়ে জলিলের বিরুদ্ধে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান,এর আগে ঐএলাকা সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করলে তা সরকারি রাস্তার সীমানার মধ্যে পড়ে।
এলাকাবাসী জানায়,জলিল একজন লেবাসধারী প্রতারক। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আতœসাৎ থেকে শুরু কওে এমন কোন অপকর্ম নেই যা সে করেনা। বিশেষ করে নিজে একজন চিহ্নিত মাদকসেবী ও বিক্রেতা। তবে সার্বক্ষণিক লেবাসের ছদ্মাবরণে থাকায় স্থানীয় প্রশাসনও তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেননা বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে অভিযুক্ত জলিলের প্রতিক্রিয়া জানতে তার বাড়িতে গিয়ে না পাওয়ায় একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলেও মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এঘটনায় ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, এলাকাবাসীর পক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং নায়েবকে মাপ-জরিপ করে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।