কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে স্কুলছাত্রীকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করলো এক মাদকাসক্ত
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কালিগঞ্জ পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) শ্লীলতাহানি করেছে এক বখাটে। সে উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রামের আফছার উদ্দীন সরদার ওরফে কাটা আফসারের ছেলে আলী আশরাফ পুটু (২৪)।
কালিগঞ্জের বাজারগ্রামের বাসিন্দা ও পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং তার ভগ্নীপতি মথুরেশপুর ইউপি’র তাঁতীলীগ নেতা জানান, আলী আশরাফ পুটু এলাকায় চিহিৃত মাদকসেবী ও বখাটে। সে দীর্ঘদিন যাবত স্কুলে ও কোচিংয়ে যাতায়াতের পথে ওই ছাত্রীকে অশ্লীল প্রস্তাব দিতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩ টার দিকে সে, তার এক সহপাঠী ও একই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির দু’জন ছাত্রীর সাথে প্রাইভেট টিচারের বাড়িতে যাচ্ছিল। সে উপজেলা সদরের ফুলতলা মোড় মৎস্য সেটের পাশে পৌঁছানোর পর মাদকাসক্ত লম্পট আলী আশরাফ পুটু তার গতিরোধ করে এবং জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতে থাকে। লম্পটের কবল থেকে রক্ষা পেতে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে মাটিতে ফেলে মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয় ও পোশাক ছিরে ফেলে। তার সাথে থাকা অন্যরা এসময় ভয়ে চিৎকার করে কান্নাকাটি করলে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে যায়। এসময় সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পুটু। জখম অবস্থায় ওই মেয়েটি পরিবারের সদস্যরা নিয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর ভগ্নীপতি আরও জানান, পুটু দীর্ঘদিন তার শ্যালীকে উত্যক্ত করছে। পুটুর পিতা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। এজন্য তার শশুরবাড়ির লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশ্য জনসম্মুখে শ্লীলতাহানির পর মেয়েটি মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছে। দিনদুপুরে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে তা তারা কল্পনা করতে পারেন নি। তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, এ ধরণের অপকর্ম করে রক্ষা পেলে কোনও মেয়ে বাইরে বের হতে সাহস পাবে না।
থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্কুল ছাত্রী নির্যাতনের সাথে জড়িতকে আটকের চেষ্টা চলছে। নারী নির্যাতন কিংবা যৌন হয়রানির সাথে জড়িত কেউ ছাড় পাবে না বলে জানান তিনি।