সাতক্ষীরার হঠাৎগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসায় ৩০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের বাকশা হঠাৎগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসায় ৩০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বাকশা হঠাৎগঞ্জ এলাকা সহ আশেপাশে কয়েকটি গ্রামে ধর্মীয় ও সুশিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ১৯৮৮সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদ্রাসাটি। সীমান্তবর্তী অ-জ পাড়ার মানুষ গুলো তখন থেকে লেখাপড়ার সুযোগ পায়। এই মাদ্রাসাতে কুরআন, হাদিসের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ফিকাহ, আইসিটি শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করার সুযোগ রয়েছে এখানে। ১৯৯৫ সালে এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর ফলাফল এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ। যায়গা সংকীর্ণতা, ভবন, ও ক্লাস রুমের অভাব দুর্ভোগ যেন কমতি নেই। বর্তমানে বাকশা হঠাৎগঞ্জ মাদ্রাসায় মোট ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী কর্মকর্তা কর্মরত আছে। এছাড়া প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় যে অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল তাও এখন প্রায় অনেকটা নষ্টের পথে। শ্রেণীকক্ষের চালের টিন ছিদ্র হওয়াতে সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে ভরে যায়। বিগর্হœ সৃষ্টি হয় পাঠদানের। উন্নয়নের ছোয়া না লাগায় পর্যাপ্ত আসবাবপত্র, শিক্ষার উপকরণের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের কমন রুম, ল্যাট্রিন, বাথরুম, খেলার মাঠ এবং বাউন্ডারি প্রাচীরে আনা হয়নি উল্লেখ যোগ্য পরিবর্তন। এছাড়া বৃষ্টিতে অনেক প্রয়োজনীয় নথিপত্র বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চলতি বর্ষার মৌসুমে মাদ্রাসাটি সংস্কার না হলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না। এমনকি টানা বৃষ্টিতে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবুল হোসেন জানান, আমি ১৯৯৬ সালে সহ-সুপার হিসাবে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। মাদ্রাসার সুপার মারা যাওয়ায় উক্ত পদে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে আমি সুপার পদে উত্তীর্ণ হই। আমি বর্তমানে মাদ্রাসায় সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার মাদ্রাসার শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক হওয়ায় পাশের হার তুলনামূলক বেশি। তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসার ভবন না থাকায় খুব কষ্টের মধ্যে পাঠদান করতে হয়। বৃষ্টিতে পানি আর রৌদে প্রচন্ড গরমে হাফিয়ে উঠতে হয়। তাই সরকার যদি আমাদের নতুন ভবন ও অনুদান প্রদান করেন তাহলে আমরা আরও বেশি শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটাতে পারবো। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মরতুজা আলী জানান, মাদ্রাসাটি অতিসুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হয়নি। বর্তমান সরকার উন্নয়নমুখী হওয়ায় দেশের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। তাই হঠাৎগঞ্জ মাদ্রাসায় দ্রুত নতুন ভবন ও অনুদান প্রদান প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এদিকে, মাদ্রাসাটিতে উন্নত পরিবেশে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনতে অনুদানসহ অবকাঠামো নির্মাণ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্যসহ এলাকাবাসী ।