কেশবপুরে খ্রীষ্টান মিশনের ভবন নির্মাণের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কেশবপুর প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে খ্রীষ্টান মিশনের ভবন নির্মাণের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শহরের খ্রষ্টিান মিশনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে সিওসি’র সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সরকার বলেন, কেশবপুরের শাহাপাড়ায় খ্রীষ্টান মিশনে পুরোহিত রেভাঃ খ্রীষ্টফার সরকার ১৯৯৩ সাল থেকে দুস্থ্য ও অসহায় শিশুদের জন্য এতিম খানা-সহ ২৫০ জন শিশুকে প্রতিদিনের দুপুরের খাবার, লেখাপড়া ও চিকিৎসার যাবতীয় ব্যায়ভার বহন করে আসছিলেন। তাছাড়া তিনি যশোর ও খুলায় দুইটি এতিমখানা, বিভিন্ন উপজেলায় স্কুল, নতুন গীর্জা ঘর নির্মাণ, কবর স্থানের জন্য জয়গা ক্রয়-সহ অসংখ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
কেশবপুরের খ্রষ্টিান মিশনটি প্রতিষ্ঠালগ্নে নিউ লাইফ সেন্টার নামে পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে বিএফবিসি এবং বর্তমানে কাজের ধারা অব্যহত রাখার জন্য সিওসি নামে পরিচালিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতার জন্য কেশবপুর পৌর সভা বর্তমান ও সাবেক মেয়র মিশনের ভবনটিকে বসবাসের অযোগ্য ও পরিত্যাক্ত বলে ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিভিন্ন সময়ে ৩টি নোটিশ প্রদান করেন। বাধ্য হয়ে মিশন কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলেন। যার ফলে মিশনের সকল কার্যক্রম বাঁধা গ্রস্থ হয়।
গত মার্চ মাস থেকে পুরোহিত রেভাঃ খ্রীষ্টফার সরকার নুতনভাবে মিশনটিতে গীর্জা ও এতিম শিশুদের জন্য এতিমখানা ও স্কুল ঘর নির্মাণের জন্য মিশন কম্পাউন্ডে মাটি ও বালি ভরাট, প্রাচীর এবং মিশন ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। কিছু অসাধু ভূমি দস্যু, কুচক্রান্তকারী ও স্বার্থন্বেষী ব্যক্তিগণ মিশনের উন্নয়নের বাঁধাগ্রস্থ ও মিশনের জায়গা অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছেন। তারই অংশ হিসাবে জেমস অমল বৈদ্য খ্রীষ্টান মিশনের জমির কিছু অংশ অবৈধভাবে জবর দখল করে আছে। সম্পূর্ণ জায়গা দখল করতে না পেরে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা, বে-আইনী, ভূয়া, সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং অসত্য প্রচারণার নামে মিশনের উন্নয়নের কাজ বাধাগ্রস্থ করার পায়তারা চালাচ্ছে। জেমস অমল বৈদ্য, তপন বিশ্বাস, মহাদেব বিশ্বাস, মৃদুল সরকার কখনই বি.এফ.বি.সি’র সদস্য ছিলেন না এবং বর্তমানেও নেই। জেমস অমল বৈদ্য ফেইথ বাইবেল চার্চ অব গড, তপন বিশ্বাস চার্চ অবদ্যা ন্যাজারিন ইন্টারন্যাশনাল, মহাদেব বিশ্বাস খ্রীষ্ট মন্ডলী, মৃদুল সরকার, দ্যা সালভিশন আর্মির সদস্য। প্রতিটি সংগঠনের স্ব স্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আলাদা রেজিঃ নং ও আলদা চার্চ হিসাবে পরিচালিত হয়। যেখানে অন্য চার্চের সদ্যদের মতামত প্রয়োগ সম্পূর্ণ বে-আইনী। ইতিমধ্যে মহাদেব বিশ্বাস, তার পূত্র গৌতম বিশ্বাস ও তাদের সহযোগিরা বিভিন্ন সময় পুরোহিত রেভাঃ খ্রীষ্টফার সরকার ও তার সহকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকী-সহ ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। এদিকে গত ৩১ মে জেমস অমল বৈদ্য তাদের সহযোগিদের নিয়ে মিশনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়ে রেভাঃ খ্রীষ্টফার সরকারের সম্মান হানি করেছেন এবং মিশনের জমি নিয়ে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। বর্তমানে চক্রান্তকারীরা মিশনের উন্নয়ন কাজের বাঁধা দেওয়ার পায়তারা করছেন। মিশন কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বার্থন্বেষী উন্নয়ন কাজে বাঁধা সৃষ্টিকারী কুচক্রান্তকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সিওসি,র ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ সরকার, সদস্য যোহন সিংহ, যিশাও মন্ডল, রুবেন সরকার, শংকর সরকার, পালক বিজয় বিশ্বাস, কেষ্টপদ বিশ্বাস, সুমঙ্গল বিশ্বাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।