২০ দিন ধরে থানায় বন্দি ৩ গরু!
ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ২০ দিন ধরে বন্দি হয়ে আছে তিন গরু। চোরের হাত থেকে উদ্ধারের পর ২০ দিন ধরে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে গরুগুলো।
গত ২৭ এপ্রিল সকালে নগরীর গোরহাঙ্গা থেকে ওই তিন গরুসহ দুই চোরকে গ্রেফতার করে মডেল থানা পুলিশ। ট্রাকে করে গরুগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল একদল চোর।
পরে গ্রেফতার ওই দুই চোরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠালেও গরু তিনটি থেকে যায় থানাতে। পেটপুরে খেতে না পেয়ে দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছে গরুগুলো।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ জানায়, গ্রেফতার দুই চোর গরুগুলোর কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। গরুগুলোর মালিক কে সে ব্যাপারেও মুখ খোলেনি। পরে তাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। ওই মামলায় এখন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানার সামনে খোলা আকাশের নিচে একটি গাভি, একটি ষাড় ও একটি বাছুরকে বেঁধে রাখা হয়েছে। একটি পাত্রে গরুগুলোর সামনে পানি দেয়া। নেই কোনো খড়। খাবারের জন্য একটু পরপরই গরুগুলো ‘হাম্বা’ ‘হাম্বা’ ডেকে যাচ্ছিল।
থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় দোকানিরা জানান, সবসময় গরুগুলো এক জায়গাতেই বাঁধা। মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে ঝড়-বৃষ্টি। অভুক্ত গরুগুলো সারাক্ষণ চিৎকার করেই চলছে। দেখাশোনার নেই কেউ। এ যেনো গরুগুলোর হাজতবাস।
এ নিয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ।
তবে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও নগরীর উপশহর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মালিক না পাওয়ায় গরুগুলো থানা হেফাজতেই রয়েছে। নিজের পকেটের পয়সায় সাধ্যমতো গরুগুলোর খাবার দিচ্ছি। তবে গরুগুলোর যে যথেষ্ট যত্ন নেয়া হচ্ছে না সেটিও টের পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, গরুগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। কিন্তু এখনো সেই সিদ্ধান্ত আসেনি। সিদ্ধান্ত পেলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।