লড়াই করে শহীদ হলেন ফিলিস্তিনি সালাহ
ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ও নিহতদের স্বজনের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে গাজা উপত্যকা। তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোমবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, টিয়ারগ্যাসে অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরো দুই হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে গাজার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা। টিয়ারগ্যাসে শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন ৮ মাসের এক শিশুও। এছাড়া আরো অন্তত ৮ শিশু মারা গেছে; যাদের বয়স ১৬ বছরের নিচে।
সংবাদ সংস্থা মানের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবি বলছে, জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস চালুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন পা-বিহীন ফিলিস্তিনি যুবক ফাদি হাসান আবু সালাহ। হুইলচেয়ারে করে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাথর নিক্ষেপ করছিলেন তিনি। এসময় গুলিতে প্রাণ যায় সালাহর।
এর আগে ২০০৮ সালে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন ৩০ বছর বয়সী সালাহ। পরে তার শরীর থেকে দুই পা অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
গত ডিসেম্বরে ২৯ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী যুবক ইব্রাহীম আবু থারায়াকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। গাজা উপত্যকায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হুইল চেয়ারে করে অংশ নিয়েছিলেন ইব্রাহীম।
মঙ্গলবার আবু সালাহর শেষকৃত্যে শোকার্ত শত শত ফিলিস্তিনি অংশ নেয়। গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা নিন্দা জানিয়েছেন। এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মঙ্গলবার গাজা হত্যাকাণ্ডের জেরে জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশষ দূত নিকোলা ম্ল্যাদেনোভ গাজা উপত্যকায় অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতা দ্রুত বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।