খুলনায় জয়ের পথে খালেক
ডেস্ক রিপোর্ট :
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। এরইমধ্যে ২৫৩টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। সেখানে খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৫৬০ ভোট।
আজ মঙ্গলবার খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
মোট ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। তবে তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, তিনটি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এই তিনটি কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও অনিয়ম হয়নি। কেন্দ্র তিনটি হচ্ছে, ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, লবণছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজি মালেক দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসা।
ইসি সচিব বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল। কেন্দ্র দুটির ফলাফলও প্রকাশ করা হয়ে গেছে।’
তবে নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট ডাকাতির যে চিত্র খুলনাবাসী দেখেছে, আমি নিজেও দেখেছি এবং আপনারাও দেখেছেন। সেই নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশাকে স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়ে, বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করল। সেটি হচ্ছে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০১৮ একটি কালিমালিপ্ত নির্বাচন।’
অন্যদিকে, আজ সারা দিনের মতো এখনো নির্বাচনের রায় মেনে নেবেন বলে জানালেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। বিএনপিকেও রায় মেনে নিতে বলেন তিনি।
তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘আমি মনে করি, জনগণ যে রায় দেবে, আমাদের সবারই সেই রায় মেনে নিয়ে, যেই বিজয়ী হবে, তাকে নিয়েই আমরা আগামী দিনে নগর ভবনের দায়িত্ব নিয়ে খুলনার মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করব।’
খুলনা সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা হলেন—আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাতপাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।
খুলনা সিটিতে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হয়েছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০৬ নম্বর কেন্দ্র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ১০টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়।