মাদরাসা সুপারের মাথায় মলমূত্র ঢাললেন জাপা নেতা
ডেস্ক রিপোর্ট:
বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক মাদরাসা সুপারের মাথায় মলমূত্র ঢেলেছেন জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর খন্দকার।
রোববার এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার কাঠালিয়া ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ দাখিল মাদরাসার সুপার।
অভিযুক্তরা হলেন- জাকির হোসেন জাকারিয়া, মাসুম সরদার, এনামুল হাওলাদার, রেজাউল খান, মিনজু, জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার, সোহেল খন্দকার ও মিরাজ হোসেন।
লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষক জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদ প্রার্থী হন জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মজিবর রহমান এবং জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর খন্দকার। নির্বাচনে জাহাঙ্গীর পরাজিত হন। এতে ক্ষুব্ধ হন জাহাঙ্গীর। কারণ নির্বাচনে আমি (সুপার) মজিবরের পক্ষ নিয়েছিলাম। এর জের ধরে গত ১১ মে ফজরের নামাজ শেষে মসজিদের সামনে জাহাঙ্গীর ও মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি দল আমাকে সড়কে আটকায়। এ সময় জাহাঙ্গীর আমার মাথায় থাকা পাগড়ির রুমাল খুলে নেন। আমি তাদের থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। জাহাঙ্গীরের লোকজন আমাকে ধরে রাখে।
অপর এক অনুসারীর হাতে পলিথিন প্যাচানো হাড়ির মধ্যে মলমূত্র ছিল। জাহাঙ্গীর ওই মলমূত্র আমার মাথায় ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে পলিথিন থেকে হাড়ি বের করে আমার মাথায় ওই মলমূত্র ঢেলে দেয়া হয়। পরে হাতে পলিথিন পেঁচিয়ে মাথায় মলমূত্র ভালোভাবে ছড়িয়ে দেয়। আমি কোনোভাবে তাদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে বাড়িতে চলে যাই। এ সময় সেখানে উপস্থিত সকলে উল্লাসে ফেটে পড়ে।
এ ব্যাপারে রঙ্গশ্রীর চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন জানান, যতই বিরোধিতা থাকুক সমাজের সম্মানিত পেশার ব্যক্তিকে এভাবে কেউ অপমানিত করতে পারে তা ভাবতেও ঘৃণা হয়। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত ) আব্দুল হক জানান, এ ঘটনায় আবু হানিফা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।