মমতাময়ী মায়ের কাছে এতিমের খোলা চিঠি
নিজস্ব প্রতিনিধি:
মাতৃতুল্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা,
আসসালামু আলাইকুম। আমার সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনি ভালো আছেন এবং থাকবেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে সীমাহীন সাফল্যে আপনি বিশ^নেতাদের শীর্ষ স্থানে। উন্নত, সমৃদ্ধশালী এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনার বিকল্প একমাত্র আপনিই। বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যতোদিন বেঁচেছিলেন; তন্মধ্যে জন্ম থেকে কৈশোরের আগের সময়টুকু ছাড়া জীবনের পুরোটা সময় দিয়ে গেছেন বাংলার মেহনতি, গরীব, এতিম ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। তিনি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এ নীতিতে বিশ^াস করতেন। আমি একটি হতদরিদ্র পরিবারের পিতৃহীন এতিম সন্তান। আজ অনেক বেদনা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ভালোবাসার দৃঢ় আবেগের মণিকোঠা থেকে সবচেয়ে আপন মানুষ ভেবে আপনাকে খোলা চিঠি লিখলাম।
মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,
১৯৯৪ সালের ২আগস্ট, আমি সাতক্ষীরা পৌরসভার অন্তর্গত মুনজিতপুর গ্রামে (সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল) জন্মগ্রহণ করি। সাত ভাই বোনের মধ্যে আমি ৫ম সন্তান। কাটিয়া সরকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার শিক্ষা জীবন শুরু। ২০০২ সালের ১৮ এপ্রিল, সিলভার জুবলি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমার পিতা আব্দুর রহিম ইন্তেকাল করেন। অর্থের অভাবে তার সুচিকিৎসাও করা সম্ভব হয়নি। অতি কষ্টে আমার ‘মা’ রাবেয়া খাতুন আমাদের সাত ভাই-বোনকে সুশিক্ষার মাধ্যমে বড় করেছেন। স্বচ্ছলতা ছিলনা বলে অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি আলহাজ¦ এ.কে.এম মাজহারুল হক সাহেব ২০০২ সালে আমাকে খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এঁর প্রতিষ্ঠান ‘সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন’-এ ভর্তি করে এতিমখানায় শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দেন। যে প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র ‘¯্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্ট্রের সেবা’।
২০০৮ সালে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় ‘মাসিক সাহিত্যপাতা’র সম্পাদক হিসেবে প্রথমই জড়িয়ে পড়ি সাহিত্য জগতে। ২০০৯ সালে এস.এস.সি, ২০১১ সালে এইচ.এস.সি, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএসএস অনার্স (¯œাতক) পাশ করি এবং মাস্টার্স (¯œাকোত্তর) অধ্যায়নরত। আমার চির আকাঙ্খা আপনার প্রেস সচিব হওয়ার। এ লক্ষে ২০০৯ সালে সাতক্ষীরার প্রথম সংবাদপত্র ‘দৈনিক কাফেলা’র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করি। ২০১৭ সাল থেকে অদ্যবধি ‘দৈনিক পত্রদূত’ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
দেশরতœ শেখ হাসিনা,
আমার ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রত্যয়ে আপনি তথা এ দেশের নাগরিকদের সহিত সহযোগিতাসহ সাহসিকতার সাথে এগিয়ে চলা আমার একান্ত কাম্য। আশা করি, আপনার নেতৃত্বধীন সুদৃষ্টি আমাকে সে স্বপ্ন পূরণের লক্ষে পৌছে দেবে। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে সংসদ সদস্যদের সাথে নাগরিকদের যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ‘আমার এমপি ডট কম’ সাতক্ষীরা ০২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র এ্যাম্বাসেডর হিসেবে সুনামের সাথে আমি আমার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছি। সম্প্রতি সেরা এ্যাম্বাসেডর হিসেবে মহান সংসদের ডেপুটি স্পিকার এড. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের নিকট থেকে আমি ও আমার এমপি মহোদয় সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেছি। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট শান্তিকালীন সময়ে নেভিগেশন, জিপিএস, কমিউনিকেশন, যোগাযোগ, ইন্টারনেট সেবা, স্পেস রিসার্চ, আবহাওয়ার পূর্বাভাসসহ নানাবিধ কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি এদেশের বিপূল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে। বর্তমানে আমি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব ও সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য, স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘আমাদের সাতক্ষীরা’ ও ‘মাসিক সাহিত্যপাতা’র নির্বাহী পরিচালক, ‘দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি। এছাড়া খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে চলতি মেয়াদে সহ-সম্পাদক পদে সদস্যগণের মনোনীত হিসেবে সর্বোচ্চ ভোটের অধিকারী হয়ে নির্বাচিত হয়েছি। এ প্রতিষ্ঠানে সভাপতি পদাধিকারবলে জেলা প্রশাসক মহোদয়,সাতক্ষীরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা,
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং আপনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নিজেকে একজন দায়িত্ববান নাগরিক ও সাহসী কলম সৈনিক হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকা-কে আন্তরিকতার সাথে জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঠিক তখনই একটি কুচক্রী মহল আমার নামে শুরু করেছে নানা অপপ্রচার। মিথ্যা খবরের ‘শিরোনাম’ করা হল আমাকে। উক্ত খবরে অভিযুক্ত হিসেবে আমার কোন মতামত বা বক্তব্য নেয়া হয়নি। জীবনের চব্বিশটি বছরের ষোলটি বছর যে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কাটিয়েছি, সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা কিংবা কোন প্রকার ক্ষতিসাধন করা আমার পক্ষে সম্ভব কিনা, শিক্ষার আলোকে আমার জানা নাই।
স্বাধীনতার স্থপতির কন্যা শেখ হাসিনা,
সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কতিপয় কিছু অসাধু ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত ছিল, তারা অনেকেই চিহ্নিত মাদকসেবী। সংবাদে প্রকাশিত অভিযোগ সম্পর্কে আমার বাস্তব জীবনে কোন মিল নাই। হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানীকর সংবাদটি নিদারুনভাবে আমাকে ব্যথিত করেছে। যার কারণে ব্যথিত চিত্তে অশ্রুস্বজল চোখে একজন এতিমের অভিভাবক হিসেবে আপনাকে ‘খোলা চিঠি’ লিখলাম।
প্রাণপ্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনা,
আমাকে ক্ষমা করবেন। নিরুপায় হয়ে আজ আপনাকে অতি আগ্রহের সহিত জানাতে বাধ্য হলাম। আমি আপনাকে এবং আপনার সার্বিক উন্নয়নে গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশকে প্রাণপন ভালোবাসি। মিথ্যা খবর প্রকাশ করে আমার ব্যক্তিত্বের উপর যে অমানষিক নির্যাতন করা হয়েছে, তার সঠিক বিচারের দাবীদার আমি এই এতিম আব্দুর রহমান। আমার লেখার মাঝে যদি কোন ভুল-ত্রুটি থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশাকরি আমি আমার ‘খোলা চিঠি’র উত্তর পাবো।
ইতি
জাতির পিতার ষোলকোটি সন্তানের মধ্যে
আমি এক এতিম সন্তান,,,
মোঃ আব্দুর রহমান
মোবাইল : ০১৭১৪-৫০৯৫৫৪
তারিখ : ১০.০৫.২০১৮ইং