সরকারের সহযোগিতা পেলে দৃশ্যমান সেতু নির্মাণ করা সম্ভব
নিজস্ব প্রতিনিধি:
যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার একটি অবহেলিত গ্রামের নাম ঝাঁপা। এ গ্রামের একটি উন্নয়ন কমিটির অর্থায়নে ১৩শ ফুট দৈর্ঘের ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৮৮৯টি প্লাষ্টিকের ড্রাম ও লোহার শিট সামগ্রী দিয়ে তৈরি দেশের সবচেয়ে বড় ভাসমান সেতু এটি। ৯ফুট প্রস্থের এ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির ৬০ জন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে এ টাকা সংগ্রহ করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সেতুটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে উদ্যোক্তারা। সরকারের সহযোগিতা পেলে এ এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের অন্যান্য জেলায় উন্নয়নের ছোঁয়া দর্শনীয় হলেও এ গ্রামের কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বলে জানান অনেকেই।
রোববার বিকালে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ভাসমান সেতুটি সম্পর্কে সেমিনারে বক্তারা এসব কথা জানান। ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির আয়োজনে সেমিনারে উদ্যোক্তা মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. মো. আবুল কালাম বাবলা, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, সহ সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ সম্পাদক আব্দুর রহমান, ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল কাদের মন্টু, সহ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, লাইব্রেরির সদস্য সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উদ্যোক্তারা জানান, ‘তরুণরা যদি এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসে তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের বাংলাদেশ। মহৎ কোন উদ্যোগ নিলে সফলতা অবশ্যই আসবে। ভাসমান এ সেতুটির স্থায়িত্বকাল ১৫-২০ বছর। তবে নিয়মিত সংস্কার করলে দীর্ঘস্থায়ী হবে সেতুটি। দেশিয় এ উদ্ভাবন বিস্তারে সরকারের সহযোগিতা পেলে আরো কম খরচে দৃশ্যমান সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হবে জানান উদ্যোক্তারা।’