শ্যামনগরে রমজাননগর সড়কটির বেহালদশা
শ্যামনগর প্রতিনিধি :
শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর থেকে রমজাননগর ব্রীজ এর মধ্যবর্তী সড়টি দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশায় পড়ে থাকায় ৫টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার জনসাধারণের চলাচলের এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনিত হয়েছে। সাতক্ষীরা-০৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের সহযোগিতায় এলজিইডি এর অধীনে জরাজীর্ণ সড়কটি ইটের সোলিং উটিয়ে কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর মাধ্যমে জানাযায় বরিশালের রাবেয়া ট্রের্ডাস নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি এ সড়ক নির্মানের কাজ পায় এবং ইংরেজি ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে খোড়াখুড়ির কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সম্পূর্ণ ইটের সোলিং উঠিয়ে ফেলে সেখানে প্রায় আড়াই ফুট পরিমাণ গর্ত করা হয়। এমতাবস্থায় দীর্ঘ ৭মাস এভাবেই খোড়া অবস্থায় রাখা হয়েছে। যার ফলে যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেটে চলা চলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
রাবেয়া ট্রেডার্স এর স্বত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার মোঃ ইলিয়াস এর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোন প্রকার সাড়া মেলেনি।
এমনই অবস্থায় পড়ে থাকা সড়কে এখন হাটু পানি। গত ২দিনের বৃষ্টিতে সড়কটির মাঝখানে গর্ত সৃষ্টি করা অংশটি সম্পূর্ণ পানিতে ভরে আছে। এমতাবস্থায় জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। কি কারণে সড়কটি এভাবে দীর্ঘদিন খুড়ে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে উপজেলা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোন উত্তর মেলেনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য পতিত পাবন মন্ডল জানান এসড়কটি ৭মাস যাবৎ সম্পূর্ণ ভাবে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে আছে। তিনি আরও বলেন, এ সড়ক সংলগ্ন ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী চলাচল করে। রাস্তার এ দৈন্য দশার কারণে শিক্ষার্থীরা দারুন ভোগান্তির পোয়াচ্ছে। তাছাড়া চিংড়ীচাষ সম্মৃদ্ধ এই এলাকার চিংড়ী চাষীরা পড়েছে দারুন বিপাকে। এই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন চিংড়ী খামার থেকে প্রতিনিয়ত ডিপোতে চিংড়ী সরবরাহ করতে চাষীদের চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। এঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি এস এম জগলুল হায়দারের কাছে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান হয়েছে।