কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করাচ্ছে ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানার বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে চেয়ারম্যান বাবু সানা বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, এলাকাবাসীর সুবিধার্তে মসজিদের পুকুর পাড় সংস্কার করেছেন কর্মসৃজন শ্রমিকরা ।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান হাদীসহ একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি) শ্রমিকদের দিয়ে চেয়ারম্যান বাবু সানা তার ইচ্ছামত ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। চেয়ারম্যানের বাড়িতে ৪০ দিনের কর্মসূচির এসব শ্রমিকদের ৪/৫ জন প্রতিনিয়ত কাজ করেন। এছাড়া ধান কাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তিগত কাজ তাদের দিয়ে করানো হয় বলে জানা গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ৪০ দিনের কর্মসূচির কর্মসৃজন প্রকল্পের শতাধিক শ্রমিকদের দিয়ে চেয়ারম্যান বাবু সানা তার বাড়ির একটি বড় পুকুরের পাড় বাঁধানোর কাজ করাচ্ছেন। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে পুরা ধুলিহর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি করা হচ্ছে বলে তারা আরো মন্তব্য করেন। এমনকি চেয়ারম্যান তার নিজের পকেটের লোকের নাম কর্মসৃজন কর্মসূচির তালিকায় দিয়ে সমস্ত টাকা হরিলুট করছেন।
বুধবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির পুকুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর সত্যতা পান। অথচ চেয়ারম্যানের লোকজন এই কাজকে মসজিদের পুকুরের পাড় নির্মাণের কাজ বলে প্রচার দিচ্ছেন।
স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মসজিদের পুকুর পাড় নির্মাণের কাজ চলছে কর্মসৃজন কর্মসূচীর লোক দিয়ে। এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে প্রশ্ন করেন মসজিদের নামে পুকুরটি আছে কিনা? এছাড়া এই কাজ কোন প্রকল্পের মাধ্যমে করা হচ্ছে ? তিনি এ সময় এসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান বাবু সানা জানান, কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে মসজিদের পুকুর পাড় সংস্কার করেছেন কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকরা। তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থলে গেলে প্রকৃত তথ্য জানতে পারবেন।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই ।আমি খোজ খবর নিচ্ছি । এমন ঘটনা ঘটলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।