থানায় অভিযোগ করায় বাদীর বসতবাড়িতে আগুন ও বাদীর ভাইকে হত্যার চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খানপুরের মৃত্যু গফফার সরদারের ছেলে আনারুল ইসলামের সাথে একই এলাকার মৃত্যু কসিমুদ্দীনের ছেলে শওকত হোসেন ও ওজিহার রহমানের মধ্যে জমিজায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিলো। একারণে সুষ্ঠভাবে উভয়পক্ষকে মীমাংসা করানোর জন্য গত ৪ই মে অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে সালিশ আহ্বান করলে তা আনারুলের পক্ষ আসে। এসময় শওকত, অজিহার সালিশ মানবে না বলে হুংকার করে। তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে আনারুলের বসতবাড়ি ভাংচুর করে। এঘটনায় আনারুল বাদী হয়ে গত ৪ই মে মৃত্যু কসিমুদ্দীনের ছেলে শওকত হোসেন(৫০) , ওজিহার রহমান(৪৭), শওকতের ছেলে বজলুর রহমান(৩০) ও মজনুর রহমানের(৩২) বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোমরেজ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসআই মোমরেজ হোসেন চলে গেলে ধারালো অস্ত্র, লাঠিহাতে আনারুলের ভাই সাতক্ষীরা সদর থানা আনসার ভিডিপি কোম্পানি ক্লাব সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন আশিককে হত্যার উদ্দেশ্য তাকে গৃহবন্দী করে রাখে শওকতরা। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহীম খলিল আশরাফকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে এবং ঐদিন রাতে আনুমানিক দুইটার দিকে আনারুলের বসতবাড়িতে তালা লাগিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। আগুন লাগানোর ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আনারুল ইসলাম। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা ইব্রাহীম খলিল জানান, বিষয়টা তাদের পারিবারিক ব্যাপার। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সালিশ না মেনে তারা আমাদের উপস্থিতিতে আনারুলের বসতবাড়ি ভাংচুর করে। পরবর্তীতে আনারুলের বসতবাড়িতে আগুন ও আনারুলের ভাই আশরাফকে হত্যার উদ্দেশ্য তাকে গৃহবন্দী করে রাখে। পরে খবর পেয়ে আমি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এবিষয়ে আশরাফ জানান, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য যখন গৃহবন্দী করে রাখে তখন বিষয়টি আমি এসআই মোমরেজ হোসেনকে অবহিত করি। ঘটনার বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোমরেজ হোসেন বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর আশরাফকে গৃহবন্দীর বিষয়টি জানলেও আগুন লাগানোর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে খোজ খবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে শওকতের ছেলে বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করেন।