সোনালী ব্যাংকের দুই নৈশ্য প্রহরী হত্যার মামলার ফাইল লাল ফিতায় বন্দি
কলারোয়া প্রতিনিধি :
কলারোয়ার প্রাণকেন্দ্র সরকারি কলেজ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করতে এসে দুই নৈশ্যপ্রহরী (আনসার সদস্য) কে জবাই করে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনা সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেছে। মামলাটি যেন রয়েছে লাল ফিতায় বন্দি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই চাঞ্চল্যকর মামলাটির চার্জশিট না হওয়ায় বিচার কার্য্য বেহাত হচ্ছে এমনটির দাবী করলেন মামলার বাদী ও নিহত দুই পরিবার। যার কারণে মামলার বাদী ও নিহতের দুই পরিবার সঠিক বিচার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন বলে তারা জানান। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫জুলাই সোনালী ব্যাংকের দুই নৈশ্যপ্রহরী (আনসার সদস্য) কে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা। দিনটি ছিলো বুধবার, ২৭ রমজানের পবিত্র শবে কদরের রাত। সে দিন রাতেই সাতক্ষীরা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় মামলার তদন্তভার। এরপর কিছু ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন গোয়েন্দা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন। সেই বছরেই মামলাটি আবার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সিআইডির ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিনের কাছে সেল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, মামলার চার্জশিট দ্রুত দাখিল করবেন আদালতে। নিহত আনসার সদস্য কলারোয়া উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামের কায়েম হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩২) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আসাদ (২৫)। নিহত জাহাঙ্গীর ও আসাদের পরিবার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে দ্রুত চার্জশিট প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন।