এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রেখে জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু
শহর প্রতিনিধি :
অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার স্মৃতি ফুটবল মাঠের দৃষ্টি নন্দন গেট নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। গেটের পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে একটি সুদর্শন স্টেজও। সাতক্ষীরা শহরের গাঁ ঘেঁষে মাছখোলা ও শাল্যে এলাকাটি অবস্থিত হলেও সেটি ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের আওতায়। একেবারে শহরের গাঁ ঘেঁষা হলেও দীর্ঘদিন শাল্যে এলাকা অবহেলিত ছিলো। এমনটিই দাবি করেন শাল্যে-মাছখোলা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের।
তারা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার ব্রহ্মরাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর শাল্যে এলাকার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। সেই মহান মানুষটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য শাল্যে এলাকায় আব্দুল গফফার স্মৃতি ফুটবল মাঠ নামে একটি খেলার মাঠের নাম করণ করেন তার ছেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। পরবর্তীতে সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে একটি দৃষ্টি নন্দন গেট ও একটি স্টেজ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
শাল্যে এলাকার ভ্যান চালক আবুল হোসেন, গোলাম রসুলসহ অনেকে বলেন, গফফার চেয়ারম্যান এই এলাকার উন্নয়ন করেছিলো। তার মৃত্যুর পর এখনো কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তার ছেলে আসাদুজ্জামান বাবু সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর শাল্যে এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। হয়েছে আধুনিকায়ন। শাল্যে এলাকা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। স্কুল, মাদ্রাসা, খেলার মাঠসহ বহু উন্নয়নের সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।
তারা বলেন, বাবু ছাড়া এই এলাকা কোন নেতা নেই। আর যারা আছেন সবাই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। বাবু শুধু স্কুল, মাদ্রাসা, বিদ্যুতের উন্নয়ন করেনি। তিনি শাল্যে এলাকার সরকারি খাস জমিগুলো এ অঞ্চলের ভূমিহীন অসহায় ব্যক্তিদের মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। শুধু বসবাসের স্থানই না তাদের বসবাসের জন্য নিজের অর্থ দিয়ে বাড়ি ঘর নির্মাণ এবং ৪টি বাড়ি প্রতি একটি করে পুকুর এবং মসজিদ করে দিয়েছেন। যা শাল্যে কেন জেলার কোন নেতা করেছেন কি না আমাদের জানা নেই। আর তিনি প্রকল্পের অর্থ লুটপাট করবেন এটি হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে এযাবতকাল অত্র অঞ্চলের কতিপয় ভূমিদস্যুরা সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে মৎস্য চাষ, ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলো। কিন্তু বাবু তাদের অবৈধ দখল বন্ধ করে গরিব মানুষদের মাথা গোজার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। যা তাদের সহ্য হচ্ছে না। তারা আরো বলেন, তার তো পেট ভরা। তাদের তো অভাব নেই। তাহলে কেন লুটপাট করবেন। এ ধরনের অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, পিতার নামে গেট ও স্টেজ নির্মাণ করায় এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। অথচ, উক্ত প্রকল্পের টাকা এখনো উত্তোলনই করা হয়নি।
Please follow and like us: