কুমেক হাসপাতালে সরকারি ওষুধ জোটে না!
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই তথ্য কেন্দ্র। টিকেট কাউন্টার, ডাক্তারের কক্ষ, বিভিন্ন ওয়ার্ড, বিভিন্ন বিভাগ অনেকেরই অজানা। এ নিয়ে নতুন রোগীদের দালালদের খপ্পরে পড়তে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের এক কর্ণারে ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র। যা প্রথম কেউ হাসপাতালে গেলে খুঁজে বের করা মুশকিল। ওষুধ সরকারিভাবে দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে দেয়ার কথা থাকলেও তারা পাচ্ছেন না। ডাক্তারের নিকট কাকুতি মিনতি করে সরকারি ওষুধের স্লিপ নেন তারা। প্রায় সময় দেখা যায়, বিতরণ কেন্দ্র দরকারি কোনো ওষুধও নেই। বহির্বিভাগের এক চিকিৎসককে দেখা যায়, ধারাবাহিকভাবে একাধিক কর্মচারীর স্লিপে ওষুধের অনুমোদন দিতে। সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যায়। আর কেউ অতিরিক্ত ওষুধ নিয়ে বাইরে বিক্রি করে।
ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া টোকেনে অতিরিক্ত ওষুধ কেন দেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলেন, হাসপাতালের স্টাফরা একটু বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। আগে ওষুধ নিয়ে বাসায় রেখে দেয়, যখন প্রয়োজন হয়, তখন খায়।
জানা যায়, বাইরের অসহায় দরিদ্র রোগীরা যখন প্রয়োজনীয় ওষুধ চেয়ে পায় না। তখন কাউন্টারের সামনে ঘুরাঘুরি স্টাফদের দালালরা। তারা সহানুভূতির অভিনয় করে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেয়। আর এই সুযোগে বলে নেয়, কিছু টাকা দেন বাহির থেকে কমদামে ওষুধ নিয়ে আসছি। তখন রোগীর স্বজনরা থাকেন নিরুপায়। বাধ্য হয়ে টাকা গুছিয়ে দেন দালালদের হাতে।
কুমিল্লা নগরীর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বলেন, কাজের মেয়েকে নিয়ে গত ১০ এপ্রিল হাসপাতালে যাই। ডাক্তার দেখিয়ে স্লিপ নিয়ে কাউন্টারে গেলেই বলে ওষুধ নেই। তখন আবার বলে আপনাদের বেইরে থেকে ওষুধ কিনতে হবে। পরক্ষণেই ২০/২২ বছরের এক জিন্স প্যান্ট পরা একটি ছেলে এসে বলল, আন্টি, অল্প কিছু টাকা দেন ওষুধ ম্যানেজ করে দিতে পারব। কোনো উপায় না দেখে ৫০ টাকা দেয়। এ টাকা বিনিময়ে ওষুধগুলো সংগ্রহ করি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারি জানান, ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কারো অগ্রিম ওষুধ দেওয়ার বা নেওয়ার অধিকার নেই। এটা অন্যায়। আমরা খোঁজ নিয়ে প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
Please follow and like us: