১০০টি পরিবারের ৩০০ বিঘা সম্পত্তি সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় ভোগ দখলের চেষ্টা
শহর প্রতিনিধি:
তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার ধানদিয়ায় ৩০০ বিঘা সম্পত্তি হারি নিয়ে হারির টাকা না দিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় অবৈধভাবে ভোগ দখলের চেষ্টা বন্ধ এবং সম্পত্তি উন্মুক্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ধানদিয়া গ্রামের আনন্দ কুমার দাশ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা ধানদিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আমাদের গ্রামের পূর্বে পাশে কপোতাক্ষ নদী অবস্থিত। গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস দক্ষিণ সার্শা বিল। ওই বিলে প্রায় ৩০০ বিঘা জমি আছে। যার মালিক অত্র এলাকার প্রায় ১০০টি পরিবার। কপোতাক্ষ নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার বিলটি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকতো। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কপোতাক্ষ নদটি খননের ফলে ওই বিলটি আর জলাবদ্ধ থাকে না। কপোতাক্ষ নদ খননের পূর্বে যশোর কেশবপুর আলতাপোল গ্রামের সেলিমুজ্জামান আসাদ স্থানীয় জমির মালিকদেরকে কোন হারির টাকা না নিয়ে শুধুমাত্র পানি সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে বিলটি চারিপাশে ভেড়িবাধ দিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর মাছ চাষ করে আসছে। পরবর্তীতে প্রতি বাংলা সনের ১৫ ই পৌষ এর মধ্যে হারির টাকা পরিশোধ করতে হবে এমন শর্তে তিনি মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু এ বছরে এখনও পর্যন্ত কোন জমির মালিককে তিনি হারির টাকা দেননি।
তিনি আরো বলেন, গত ৫/৬ মাস পূর্বে আসাদ অন্য কারো কথা চিন্তা না করে এবং কারো তোয়াক্কা না করে ঘেরের পানি না সরানোর কারণে কিছু ডাঙ্গা জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এঘটনায় তাল উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি সরেজমিনে তদন্ত করেন এবং আগামীতে ঘের পরিচালনা করার জন্য কমিটি করার কথা বলেন। পরবর্তীতে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে দক্ষিণ সারসা, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন(সাহেব আলী)সহ আরও কিছু লোক ঘেরটি উন্মুক্ত করার জন্য কিছু জমির মালিকের কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। অথচ স্বাক্ষর নেওয়ার দীর্ঘ ৫ মাস পরও ঘের উন্মুক্ত না করে ভাড়া করা লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক অবৈধভাবে ওই ঘেরের ভেড়িবাধ সংস্কার শুরু করেছে। এ বিষয়ে কিছু জমির মালিক তার কাছে জানতে চাইলে সে হুমকি প্রদর্শন করে বলে, ‘আমি এখন থেকে ঘের করবো। তোদের ক্ষমতা থাকলে বন্ধ করিস। আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল হাজত খাটাবো।’
এঘটনার পর অত্র এলাকার জমির মালিকদের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। ওই মেম্বর আক্তার হোসেন একজন দূর্ধর্ষ প্রকৃতির ব্যক্তি। সে ওই সম্পত্তি নিয়ে যে কোন সময় এলাকায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমরা উক্ত ব্যক্তিদের হাত থেকে আমাদের সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক উন্মুক্ত করার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।