আশাশুনিতে মিথ্যা অপহরণের অভিযোগ থেকে অব্যহতির দাবী
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মিথ্যা অপহরণের অভিযোগ থেকে অব্যহতির দাবী জানিয়েছেন উপজেলার কাপসান্ডা গ্রামের আল আমিন গংরা। কথিত অপহৃত চিন্তা রানী সরদার তাকে কেউ অপহরন করেনি মর্মে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এ্যাফিডেভিটও করে দিয়েছেন।
জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের হরিপদ সরদারের মেয়ে চিন্তা রানী সরদারের সাথে একই উপজেলার বড়দল গ্রামের কান্ত দাসের ছেলে বাদল কুমার দাসের সাথে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী পারিবারিকভাবে গত দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের এক সপ্তাহ পর চিন্তা রানী জানতে পারেন তার স্বামী বাদল দাস একজন মাদক সেবী, জুয়ারী, লম্পট, চরিত্রহীন, নারী লিপ্সু ও যৌতুক লোভী। এছাড়াও স্বামী বাদল দাস প্রায়ই যৌতুকের দাবীতে তাকে মারপিট ও নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে তিনি নির্যাতন সইতে না পেরে তার স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন।
সেখানে প্রায় ৬ মাস থাকার পর বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্কের অবনতি হলে তিনি ঢাকার মিরপুরে কোরিয়ান গার্মেন্টেসে চাকুরীতে যোগদান করেন। এরপর কিছু দিন যেতে না যেতেই তার মা কাঞ্চন মালা বাদী হয়ে তার মেয়ে চিন্তা রানীকে অপহরন করা হয়েছে মর্মে খাজরা ইউনিয়নের কাপসান্ডা গ্রামের আল আমিন, খাজরা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রউফ মোড়ল, যুবলীগ নেতা খোকা বাবু সরদার, ও আদম গাজীর নামে আশাশুনি থানায় একটি মিথ্যা অপহরনের অভিযোগ দায়ের করেন। চিন্তা রানী তার মায়ের এই মিথ্যা এই অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরে তিনি রোববার স্বেচ্ছায় সাতক্ষীরার নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে এসে তার মা তাকে অপহরন করা হয়েছে মর্মে থানায় যে অভিযোটি দায়ের করেছেন এতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা কেউ তাকে অপহরন করেননি তিনি স্বেচ্ছায় ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী করছেন মর্মে নোটারী পাবলিকের অ্যাড. জেড.এম আব্দুল্লাহ আল মামুনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ্যাফিডেভিট করে দেন।
এদিকে,এই মিথ্যা অপহরনের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের কাছে অব্যহতির দাবী জানিয়েছেন উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের কাপসান্ডা গ্রামের আল আমিন গংরা ।
Please follow and like us: