আনুলিয়ায় ঘুষ বাণিজ্যের নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় মদিনাতুল উলুম ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসায় লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। ১৪ এপ্রিল আনুলিয়া ১নং ওয়ার্ডে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে লিখিত বক্তব্য সরবরাহ করে মাদরাসা গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এনামুল হোসেন বলেন, মাদরাসায় শূন্যপদে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, দপ্তরী, মালী, নৈশ প্রহরী নিয়োগ দানের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ভুল পরিলক্ষিত হলে বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতি (অতিঃ জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও তৎকালীন ভারপ্রাপাপ্ত অধ্যক্ষ অলি উল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তখন পুনরায় সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার মৌখিক সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাধা প্রদান করেন। এরপর ভুল বিজ্ঞপ্তিতে অনুপ্রাণিত হয়ে নিয়োগ বিধি অনুযায়ী যাদের দরখাস্তের সুযোগ নেই তারাসহ অনেকে আবেদনপত্র জমা দেন। এসুযোগে সংশ্লিষ্ট চক্র নিয়োগদানের চুক্তিতে ৬০ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেছে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে গত ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক কালেরচিত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। এছাড়া বিদ্যোৎসাহী সদস্য মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ডের সকল সম্মানিত সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের রেজিস্ট্রীযোগে ২১/৩/১৮ তাং লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। এতকিছুর পরও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ ও মাদরাসার ডিজি প্রতিনিধি ও ঢাকা আলিয়া মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল (যিনি এই এলাকার রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী এলাই বক্স সরদারের ভাই) আঃ রশিদের সহযোগিতা নিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নাশকতা মামলার আসামী ইবতেদায়ী শিক্ষক (ডিজি প্রতিনিধির আরেক ভাই) তৈয়েবুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অলিউল্লাহ (যিনি অধ্যক্ষ পদে প্রার্থী) সুকৌশলে সম্মানিত সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীর সন্তানদের নিয়োগ দানের লক্ষ্যে নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতার উল্লেখ নেই, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারীর স্থলে শুধুমাত্র অফিস সহকারী লেখা হয়ছে। এতে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে কেবলমাত্র এইচএসসি (ব্যবসায় শিক্ষা) সনদধারীদের আবেদনের সুযোগ থাকলেও ভুলের কারণে ব্যবসায় শিক্ষা সনদধারীরা আবেদন করেননি। এই নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ না হলে ঘুষ বাণিজ্য (অধ্যক্ষ পদে ১৫ লক্ষ ও অন্য পদগুলোতে ৫০ লক্ষ টাকা) ও বিজ্ঞপ্তিতে ভুলের কারণে অযোগ্য ও অপরাধীদের সন্তানরা নিয়োগ পেয়ে যাবেন। এব্যাপারে এলাকাবাসী মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
Please follow and like us: