শ্যামনগরে যাত্রী ছাউনি ব্যবসায়ীদের দখলে! চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
শ্যামনগর প্রতিনিধি :
শ্যামনগরে উপজেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকা সব কয়টি যাত্রী ছাউনি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে। সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সরকার যাত্রী ছাউনি গুলো নির্মাণ করেছিল। প্রথম পর্যায়ে যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে সম্পূর্ণ ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এহেন অরোজগতা দীর্ঘদিন ধরে চললেও প্রতিকারের ব্যবস্থা নাই। প্রশাসন এ ব্যর্থতার দায়ভার এড়াতে পারে না। সরেজমিনে দেখাযায়, উপজেলা সদরে চৌরাস্ত সংলগ্ন যাত্রী ছাউনিটি ফল ব্যবসায়ী, সেলুন, ফাস্টফুড, স্টেশনারী ব্যবসায়ীরা দখলে রেখেছে। যাত্রীদের কোন ভাবেই এই ছাউনিতে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নেই। বসার বেঞ্চ গুলি সর্বক্ষণ দখলে রেখেছে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল চালকরা এবং সেলুন ও অন্যান্য দোকানের খরিদ্দাররা। তাছাড়া দাঁড়িয়ে থাকার জায়গাতে রাখা হয় ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল। শুধু শ্যামনগর সদর চৌরাস্তার যাত্রী ছাউনি নয় উপজেলার খানপুর, মুন্সিগঞ্জ সহ সড়ক ও জনপথ সংলগ্ন সব কয়টি যাত্রী ছাউনিতে একই অবস্থা। এমনই অবস্থাতে গ্রীষ্মের প্রখর খরতাপে এবং বর্ষার দিনে যাত্রীদের আশ্রয়ের সুযোগ নেই। যাত্রী ছাউনির ব্যবসায়ীরা জানায়, তারা বরাদ্দ নিয়েছে। কিন্তু কে বরাদ্দ দিয়েছে বা ভাড়া দিয়েছে তা পরিষ্কার নহে। শ্যামনগর চৌরাস্তার যাত্রী ছাউনির সেলুন ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র জানায়, সে ইউএনও অফিস থেকে ভাড়া নিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, তিনি এ বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন এবং কে বা কাহারা কিভাবে এটি ভাড়া দিয়েছেন সেটাও দেখবেন বলে জানান। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলক বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে এ জন গুরুত্বপূর্ণ ছাউনি গুলি দখল মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছি। তিনি ব্যর্থতার সাথে আরও বলেন, দীর্ঘ ২৫-২৬ বছর যাবৎ এই ছাউনি গুলি অদৃশ্য কারণে ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে। যা সম্পূর্ণ নীতি বহির্ভূত। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এগুলি দখল মুক্ত করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Please follow and like us: