তালার মাদক বিক্রেতা মিলন ধরা ছোঁয়ার বাইরে
স্টাফ রিপোর্টার:
একজন সামান্য প্রশ্রয়প্রাপ্ত মানুষ হাজারটা ভুল আর অপরাধ করতে কখনো দ্বিধান্বিত হয় না।কারণ সে জানে তার পিছনে সাপোর্ট দেওয়ার মত মানুষ আছে।আর এমনটি ভেবে এবং অপরাধ করে পার পেয়ে যায় । কিন্তু ছোট অপরাধগুলো-ই একটা সময় একটি পরিবার এবং একটি সমাজকে পিছলে ফেলে দেয়।
তালা উপজেলা মোটামুটি ভাবে বলা যায় মাদকমুক্ত। প্রশাসন এতটাই সজাগ যে কোন মাদক বিক্রেতা এবং মাদকসেবী মাথা উঁচু করে উঠতে পারেনা।
তার মধ্যদিয়ে বেশ সহজ ভাবে মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে তালার মিলন শেখ(১৫)। সে তালা উপজেলার সদর ইউপির দক্ষিণ আটারই গ্রামের আয়ূব শেখের ছেলে।
জানা যায়,সে দীর্ঘদিন যাবত গাঁজা বিক্রির সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। এলাকার বিভিন্ন বাগানে বসে দিনে দুপুরে বিভিন্ন খদ্দেরের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রেখে গাঁজা বিক্রি করে। উল্লেখ্য যে সে দুই এক শত টাকার গাঁজা কখনো বিক্রি করেন না। সর্বনিম্ন হাজার টাকা।
তার এই গাঁজা বিক্রির ঘটনা ধীরে ধীরে লোক মুখে আলোচনায় চলে আসে।মাসে দুই আগের ঘটনা হটাৎ একদিন তালা থানা পুলিশের একটি ফোর্স তার বাড়িতে এসে তাকে গ্রেফতার করেন এবং তার লুঙ্গীর ভাজ থেকে দুইশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। তাকে আটক করে তালা থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেনের সম্মুখে আনলে -তার বয়স ১৮ না হওয়ার কারণে ছাড়া পেয়ে যান।
শিশু অপরাধীদের অপরাধ থেকে সরিয়ে আসার জন্য সরকার বিকল্প একটি পদ্ধতি করে-ই রেখে দিয়েছেন।
এরপর ছাড়া পেয়ে কিছু দিন চুপিসারে থাকে। তারপর পরিবেশ শিথিল হলে সে আবার তার ব্যবসা শুরু করেছে। এখন সে পুরোপুরিভাবে আবার গাঁজা বিক্রি করছে। এতে করে এলাকার অল্প বয়সের ছেলেরা মাদকের দিকে ঝুকছে।কেউ বা কৌতূহলী হয়ে প্রথমে অল্প অল্প গ্রহণ করছে।কিন্তু দিনের ব্যবধানে ঠিকই তার চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
তার বয়স হয়ত কম। তবে কি সে কোন আইনি সুত্রে শাস্তি পেতে পারেনা? না হলে ধীরে ধীরে সে দুঃসাহসী হয়ে উঠে আরও বড় অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে।
না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, তাকে শেল্টার দেয় একটি মহল। যার ফলে সে কোন কিছুতে ভয় পায়না। আর এই নিরাপত্তার বিনিময় তার তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়। আর কোন বাঁধার সম্মুখীন হলে তারা উদ্ধার করেন বলে জানান।
গোপনসুত্রে জানা যায়, তার ব্যবসার সাথে একই এলাকার হাচান শেখের ছেলে হাবিবুর শেখ (১৮) জড়িত। সে কখন সামনে আসেনা। বিভিন্ন স্থান থেকে গাঁজা স্কুল ব্যাগে করে এনে দেয়। আর বিক্রির লভ্যাংশ দুই জনে ভাগ করে নেয়।উল্লেখ্য হাবিবুর শেখ মাসের বেশির ভাগ সময়টা এলাকায় থাকেনা।যখন আসার প্রয়োজন বোধ করেন বা গাঁজা নিয়ে আসার সময় হয় তখন সে বাড়িতে আসে এবং একটা থেকে দুইটা দিন বাড়িতে থাকে।আবার কাজ শেষে বাইরে চলে যায়।
এলাকার সচেতন মানুষদের প্রশাসনের কাছে দাবী, এই অপরাধীকে আইনি আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন জানান,বয়স কম থাকায় এটা মোবাইল কোর্টের বাইরে। তবে শিশু আইনে মামলা হতে পারে।
Please follow and like us: