গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় সাতক্ষীরা থানায় মামলা: স্বামী ও ভাশুর কারাগারে
জাহিদ হোসাইন:
যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শাশুড়ী প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার পূর্ব দহাকুলা গ্রামে গাছের সাথে বেঁধে স্বামী ও ভাশুর কর্তৃক নির্যাতিত গৃৃহবধূ আনোয়ারা খাতুন।
ওই ঘটনায় শুক্রবার(৬ এপ্রিল) রাতে গৃহবধূ নিজে বাদি হয়ে স্বামীসহ ৩ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলা নং ১৮।
মামলার আসামীরা হলেন, দহাকুলা গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে গৃহবধূর স্বামী মোস্তাফিজুর রহামান কাবিদ(২৮), ভাশুর হাবিবুর রহমান হাবিদ(৩০) ও শাশুড়ি জাহেরা কাতুন(৫২)। এ ঘটনায় স্বামী কাবিদ ও ভাসুর হাবিদকে আটক করেছে পুলিশ। তবে শাশুড়ী জাহেরা খাতুন এখনও পলাতক আছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা গৃহবধূ আনোয়ারা খাতুন বলেন, যৌতুকের দাবিতে আমার স্বামী ও শাশুড়ী প্রায়ই আমার উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। আমার দুই বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি সব নিরবে সহ্য করেছি।
শুক্রবার সকালে ভাত খাওয়া নিয়ে আমার সাথে আমার স্বামীর ঝগড়া হয়। এ সময় আমার স্বামী ও ভাসুর আমাকে গালিগালাজ করে। আমি তাদের কথার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে বাড়ির উঠোনে একটি আমগাছে বেঁধে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে প্রচুর মেরেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ব্রম্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ অচিন্ত কুমার অধিকারী বলেন, মামলার প্রধান দুই আসামী গৃহবধূও স্বামী ও ভাশুরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামী গৃবধূর শাশুড়ীকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গৃহবধূ চিকিৎসাধীন আছে। বর্তমানে সে মোটামুটি সুস্থ্য আছে।
Please follow and like us: