কলারোয়ায় অর্ধালুঙ্গ করে মারপিট করা হলো গৃহবধূকে
জাহিদ হোসাইন:
জমির আমগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে তিন গৃহবধূকে অর্ধালুঙ্গ করে ব্যাপক মারপিট করা হয়েছে। অর্ধালুঙ্গ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেও তাদের ছাড় দেওয়া হয়নি। বরং এলোপাতাড়ি মারপিট করে তাদেরকে মারাত্মক জখম করা হয়েছে।
শুক্রবার(৩০ মার্চ) সাতক্ষীরায় কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূরা হলেন, বোয়ালিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৩০), সুফিয়ার ননদ স্বরবানু(৩৫) ও রিজিয়া খাতুন(৪২)।
সুফিয়া খাতুন বলেন, জমিতে আমগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামের মোজাহারের ছেলে আবুল কাশেম, মৃত মোবারেক দালালের ছেলে সাবুর আলী, বাহার আলী, শহর আলী, সাবুর আলীর ছেলে আশরাফ হোসেন, বাবর আলীর ছেলে আরশাফুল ইসলাম, বাহার আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন ও মহিদুল ইসলাম,শহর আলীর মেয়ে শাপলা খাতুন, মনিরুলের ছেলে রুবেল হোসেন, মনিরুল দালালের ছেলে রুহুল আমিন, ইদু দালালের ছেলে ডাবলু রহমান আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমাদের বাড়িতে এসে বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে।
এ সময় আমার ননদ স্বরবানু ও রিজিয়া খাতুন এবং দেবর আজহারুল ইসলাম বাধা দিতে আসলে তারা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে মারাত্মক জখম করে। আমরা অর্ধালুঙ্গ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেও তারা থামেনি। বরং তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাদেরকে মারপিট করতে থাকে। তাদের মারপিটে আমার মাথা ফেটে যায় এবং আমার ননদদ্বয় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় আমাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং আশংখাজনক অবস্থায় আমাদেরকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আমাদের নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারপিটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, রাগবশত মারপিট করে ফেলেছি। ভূল হয়ে গেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, এ সংক্রান্ত ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Please follow and like us: