কৃষককে নাশকতা মামলার আসামী সাজালো সাতক্ষীরা পুলিশ
শহর প্রতিনিধি:
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এলাকার প্রভাবশালীরা নাশকতার মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠালেন অসহায় এক কৃষককে। শুধু তাই নয়, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পুনরায় ডিবি পুলিশ দিয়ে আটক করে আবারও নাশকতা মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কথাগুলো বলেন সে অসহায় কৃষক মো মাহবুবার রহমানের বড় ছেলে অহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের অর্ন্তগত তুজলপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মাহবুবার রহমান পেশায় একজন কৃষক।
আমার চাচার সাথে এলাকার নামধারী আওয়ামী লীগ কর্মী নুরুল আমিন সরদার, কবির সরদার এবং কুদ্দুস সরদারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে ৪ জানুয়ারি রাত ১ টার সময় আমার বাবাকে পুলিশ দিয়ে বাড়ি থেকে আটক করে।
এরপর ২৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা শহরে জামায়াত বিএনপি নাশকতার মামলায় তাকে চালন দেওয়া হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান। পরের দিন জেলা গেট থেকে ডিবি পুলিশ আমার বাবাকে তুলে নিয়ে যায়। তারা ওইদিন দুপুরেই তাকে থানায় হস্তান্তর করে।
‘গত ১১ ফেব্রুয়ারী কোর্টে গিয়ে জানতে পারি উনাকে নাশকতার আরেকটি মামলায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, পুলিশের দাবী ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৫ টা ৫৫ মিনিটে গদাঘাটা শিবপুর এলাকায় নাশকতার সময় আমার বাবাকে আটক করা হয়। কিন্তু আমার বাবা তখন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন।
‘কিভাবে একজন মানুষ দুই জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারে? আমার বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে এখন নুরুল আমিন, কবির এবং কুদ্দুস আমাকে ও আমার ভাইকে মামলায় ফাসনোর হুমকি দিচ্ছে,’ তিনি বলেন।
‘এই তিন ব্যক্তি একসময় জামায়াতের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। এখন ভোলপাল্টে আওয়ামী লীগে নাম লিখিয়ে এলাকার সাধারন মানুষদের হয়রানি করছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামন করেছেন।’