যৌন আবেদনের বিভিন্ন টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে তরুণ ও যুবকদের
নারীদের মাধ্যমে যৌন আবেদনের বিভিন্ন টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে তরুণ ও যুবকদের। প্রতারণার ক্ষেত্রে বর্তমানে নিত্য নতুন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে প্রতারক চক্র।
এ ক্ষেত্রে ইদানীং নতুন কৌশল হিসেবে নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
সম্প্রতি এ নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি অফ উইনচেস্টার। যেখানে পেশাগতভাবে যৌন প্রতারণার কৌশল ও এ প্রতারণা চক্রে যেসব পেশার নারীরা সহজেই যুক্ত হন তা তুলে ধরা হয়েছে।
উনচেস্টার তাদের গবেষণায় বলছে, বিমানের এয়ারহোস্টেস বা বিমানবালা, নারী পাইলট, ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, ফ্লাইট পার্সাররা যৌন ব্যাপারে একটু উদার হয়ে থাকেন। তাদের পরেই রয়েছেন আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত নারীরা।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে এই পেশার লোকেরা সহজেই মিথ্যা কথা বলায় সবচেয়ে পারদর্শীদের অন্যতম। এই পেশার নারীরা দীর্ঘ সময় ধরে এবং তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করেন। এবং ছোট ছোট গ্রুপে কাজ করেন। ফলে এঁদের পরস্পরের মধ্যে সহজেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে স্বামী বা জীবনসঙ্গীর সাথে এরা সহজেই যৌন প্রতারণা করার সুযোগ পান।
তৃতীয়ত, আর্থিক পরামর্শদাতাদের যৌন প্রতারণার ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখা হয়েছে। বলা হচ্ছে এই পেশার নারীরা একেবারে শীর্ষে থাকে। এই নারীদের নৈতিকতা থাকে না বললেই চলে। এই পেশার নারীরা কাজের ফাকে সহকর্মী, বস বা পছন্দের কারো সঙ্গে যৌনমিলন করে মানসিক চাপ মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন।
চতুর্থত, অভিনয় ও সংগীত শিল্পীরা যৌণ প্রতারণার ক্ষেত্রে খুবই পটু। মুক্ত চিন্তা বা প্রগতিশীলতার নামে তারা চুটিয়ে প্রেম করেন। কর্মক্ষেত্রের সহকর্মীদের সঙ্গে গড়ে উঠে তাদের দারুণ সখ্যতা। কিন্তু সেটা খুব স্বল্প সময়ই স্থায়ী হয়। তারা খুব সহজেই স্বামী বা জীবন সঙ্গীনির সাথে যৌন প্রতারণা করে থাকেন।
এছাড়া যারা স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরে সঙ্গে জড়িত নারী ও ক্রীড়াঙ্গনের বেশিরভাগ ক্রীড়াবিদ তারকা, শ্রদ্ধার ব্যক্তি এবং ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হন। ক্রীড়াবিদরা মূলত তাদের শারীরিক সৌন্দর্য এবং সুঠাম দেহের জন্য এতো বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেন। এর ফলে তাদের হাতে প্রায়ই যৌন প্রতারণার লোভনীয় সুযোগ এসে যায়। অনেকেই সে সুযোগ লুফে নেন ক্যারিয়ার ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির আশায়।