কালিগঞ্জে জমি ডিড নিয়ে বিপাকে পড়েছে ঘের ব্যবসায়ী

কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কালিগঞ্জে মাছের ঘের করতে জমি লীজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে এক ঘের ব্যবসায়ী। সে উপজেলার তারালী ইউনিয়নের কাঁকশিয়ালী গ্রামের মৃত জাকির খন্দকারের ছেলে মিলন খন্দকার। সরেজমিনে যেয়ে ভূক্তিভোগি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে তারালী বিলে ১ জানুয়ারি থেকে তিন বছরের জন্য ৬ বিঘা ১৫ শতক জামি মাছ চাষের জন্য লীজ গ্রহন করেন মিলন খন্দকার। এদিকে ঐ লীজকৃত জমিতে ডিড না নিয়ে মৌখিকভাবে দীর্ঘদিন মাছের ঘের করে আসছিলেন একই ইউনিয়নের আমিয়ান গ্রামের মৃত সূর্য্যকান্ত ঘোষের ছেলে অরবিন্দু ঘোষ। কিন্ত বিগত ঘের মালিক জমির হারির টাকা ও তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করায় চলতি বছরের শুরুতেই ১২ জন জমির মালিক ৬ বিঘা ১৫ শতক জমি কাঁকশিয়ালী গ্রামের মিলন খন্দকারের কাছে তিন বছরের জন্য ডিড প্রদান করেন। ঘেরের ডিড ভিন্ন ব্যক্তির নামে দেওয়া হয়েছে বিষয়টি জানতে পেরে ঘের মালিক অরবিন্দু ঘোষ চক্রান্ত শুরু করে এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী উভয়পক্ষকে ২ জানুয়ারি থানায় ডেকে উভয়পক্ষকে কাগজপত্র দেখাতে বলেন। সাবেক ঘের মালিক কোন ধরণের কাগকপত্র দেখাতে না পারায় তাকে ঘের ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন থানার উপ-পরিদর্শক। জমির মালিক আমিয়ান গ্রামের মৃত গৌরপদ ঘোষের ছেলে দিপু চন্দ ঘোষ, একই গ্রামের মৃত পুলিন ঘোষের ছেলে মনোরঞ্জন ঘোষ, মৃত শৈলেন ঘোষের ছেলে চন্দ্র কান্ত ঘোষ, গোপাল ঘোষের ছেলে সূর্য্যকান্ত ঘোষ, বুধুনাথ ঘোষের ছেলে আশুতোষ ঘোষ, মৃত গন ঘোষের ছেলে বিশ্বনাথ ঘোষ, মৃত শতিন্দ্র ঘোষের ছেলে জয়ন্ত ঘোষ, মৃত গোপাল ঘোষের স্ত্রী সাবিত্রী ঘোষ, মৃত বসুনাথ ঘোষের ছেলে সুবোল চন্দ্র ঘোষ, গৌরপদ ঘোষের ছেলে শ্রীবাস ঘোষ ও দিলীপ ঘোষ ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের মৃত নাজির গাজীর ছেলে আলাউদ্দিন গাজী বলেন, অরবিন্দু ঘোষ আমাদের জমির হারি নিয়ে টাকা দেয় না বিধায় আমরা সবাই মিলন খন্দকারকে লীজ দিয়েছি। কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী বলেন, কাগজপত্র ও ডিড না দেখাতে পারায় অরবিন্দু ঘোষকে নিয়ম অনুযায়ি জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। থানা চত্ত্বরের বিচার স্থালে সাবেক ঘের মালিক এক বছরের জন্য ঘের পুনরায় করার দাবী জানালে জমির মালিকগন অরবিন্দু কে জমি দিবে না বলে সাপ জানিয়ে দিয়ে থানা থেকে চলে যায়। একদিন পর জমির মালিকগন জমির মাপ জরিপান্তে নিজেদের জমি ভেড়ী বাঁধ দিয়ে দখলে নেয়। অরবিন্দু ঘোষ উপায়ন্তর না পেয়ে কিছু কুচক্রি ব্যক্তিদের পরামর্শে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মনগড়া কাল্পনিক একটি নিউজ পত্র পত্রিকায় ছাপায়। সংখ্যালঘুদের মাছের ঘের দখল সর্ম্পকে ডিডকৃত ঘের মালিক মিলন খন্দকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৩ জন জমির মালিক দীর্ঘদিন তাদের জমির হারির টাকা না পেয়ে আমার কাছে জমি লীজ দিয়েছে। মাপজরিপ শেষে তাদের রেকর্ডিও জমির সীমানা বুঝে নিয়ে আমি ভেড়িবাঁধ দিয়েছি। তবে মাছের ঘেরটি আমি লীজ নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক ঘের মালিক সাংবাদিকদের ভুল তর্থ দিয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ভাইয়ের নামে মিথ্যা আভিযোগ এনে দলীয় ভাবমুক্তি নষ্ট করেছে এটা খুবই দুঃখ জনক। আমার মাছের ঘেরের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্ঠতা নেই বা ছিল না। উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি মাসের দুই তারিখে তারালী বিলের ঘের ব্যবসায়ি অরবিন্দু ঘোষের একটি অভিযোগে ভিত্তিতে উভয়পক্ষকে থানায় ডেকেছিলাম, কিন্তু জমির মালিকগন তাদের জমির হারির টাকা না পাওয়ায় তারা অরবিন্দুকে ঘের করা জন্য তাদের জমি দিতে রাজি হয়নি। আইনসিদ্ধ ভাবে জমির মালিকগন যাকে ঘেরের ডিড দেবে সেই ব্যক্তিই ঘের করবে। তাই মিলনকে জমির মালিকদের কাছ থেকে ঘের বুঝে নিতে বলা হয়েছিল।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)