শ্যামনগরে মাছের খুটিতে কাঠ পুড়িয়ে শুকানো হচ্ছে মাছ, ঝুঁকিতে পরিবেশ

শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
পরিবেশের ক্ষতি করে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে মাছ শুকানোর খুঁটি। এসকল খুটিতে প্রতিনিয়ত কাঠ জ্বালিয়ে  কাঁচা মাছ শুকানো হয় । কাঠ জ্বালিয়ে মাছ শুকানোর কারণে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।পথচারীরা কাঠের ধোয়ায় বিভিন্ন সমস্যা পড়তে হচ্ছে বলা যানান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে উপকূলীয় অন্চল।
এছাড়া প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়তে হয়। সরাজমিনে দেখা যায় পাইকগাছার অসীম বিশ্বাস ও ঝাপা গ্রামের বাবুল মন্ডল। আটুলিয়া ইউনিয়ানের মহিন্দ্রসিলের রাস্তার পাশে ৪টা বুড়িগোয়াললীনি বিলাটিতে অনাদি মন্ডলের ৩ টা খুঁটি অনুমোদনহীন ৭ টা খুঁটি তৈরি করে। অবৈধভাবে শত শত মণ মণ কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকাছে।এখানে প্রতিনিয়ত ৩ থেকে ৪ হাজার কেজির মত চিংড়ি মাছ শুকায় কাছা কাঠ জ্বালিয়ে। প্রবেশের অধিদপ্তরের কোন অনুমতি নেয় তাদের।
পথচারী আবুল হাসান জানান, রাস্তার পাশে প্রতিদিন কাঠের ধোঁয়া দিয়ে চিংড়ি মাছ শুকানোর কারণে। ধোয়া লেগে আমাদের ছোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
খুঁটির পাশে থাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘের মালিকরা বলেন, খুটিতে হাজার হাজার মণ কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকায় এর ধোয়ায় আমাদের নানান ধারণের সমস্যায় ভুগতে হয়।
প্ররিবেশ নিয়ে কাজ করা লির্ডসের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল বলেন, প্রতিদিন যেভাবে কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকাচ্ছে এতে করে এলাকায় প্ররিবেশের খুব সমস্যা দেখা দিবে।এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি এসেছে সেগুলো দিয়ে মাছ শুকানো যায়।তা না করে কাঠ পড়ানোর কারণে জলবায়ুর বিভিন্ন সমস্যা দেখে দিচ্ছে।যে কারণে আমাদের ভবিষৎ খুবিই খারাপ অবস্থার দিকে নিয়ে যাবে।
মাছের খুঁটির মালিক অসীম বিশ্বাসের কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকানোর কোন অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, স্যানিটারি ইন্সফেরটারের কাজ থেকে একটা অনুমোদন নিয়ে আমরা মাছ শুকায়।এছাড়া আমাদের কোন কাগজ পত্র নেই।

শ্যামনগর উপজেলার সরকারি কমিশনার (ভূমি)মো: শহিদুল্লাহ বলেন, কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।আমরা দুরত্ব ব্যাবস্থা নিবো।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)