আজ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৪৮ সালের এই দিনে  সংগঠনটির জন্ম হয়। এখন উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন এটি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪তম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম সাফল্যের একেকটি সিঁড়ি বেয়ে ৭৫ বছরে পদার্পণ করলো। মুক্তিবর্গ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গৌরবগাঁথা ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে আরো একধাপ এগিয়ে।

বঙ্গবন্ধু এই ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করার পরে থেকেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বহু ভূমিকা রেখে চলছে। ৭৪ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্রকে বাস্তবে রূপদানে বহু ইতিহাস।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।

বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, ৫৪’র সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে যুক্তফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, ৬৬’র ৬ দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া, ৬ দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাক শাসকের পদত্যাগে বাধ্য করা এবং বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা, ৭০’র নির্বাচনে ছাত্রলীগের অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

সংগঠনটির ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

৪ঠা জানুয়ারি  মঙ্গলবার

সকাল ৭:৩০ মি. দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ও দেশব্যাপী সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮:০০ টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

সকাল ৮:০০ টায় ঘটিকাটুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধি টিম পুষ্প অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল এবং মোনাজাত করা হবে।
সকাল ৯:০০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হলে কেক কাটা হবে।
দুপুর ২:০০টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন শেষে অপরাজেয় বাংলার সামনে থেকে  আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু।

৫ জানুয়ারি বুধবার
সকাল ১১:৩০ টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত  কুষিবিদ ইনস্টিটিউশন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিটি জেলা, মহানগর ও উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে প্রজেক্টর এবং সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে শেখ হাসিনার বক্তব্য  সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।

৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার
সকাল ১১:০০ টায় পথশিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং
বিকাল ৩:০০ টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে।

৭জানুয়ারি শুক্রবার
বিকাল ৩:০০ টায় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। ৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১:০০ টায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজেয় বাংলা’ সংলগ্ন বটতলা স্বোচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হবে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল ইউনিটকে (জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ) যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ১১:৩০ টায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর আলোচনা সভায় সংযুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)