বড় লিডের স্বপ্নের সঙ্গে আক্ষেপে দিন শেষ বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক:

স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে প্রথমবার সেঞ্চুরি পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক ও লিটন দাস। তবে প্রত্যেকেই শতকের কাছে গিয়েও হতাশা নিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। আর তাই লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করলেও চাপা আক্ষেপ নিয়েই হয়তো আগামীকাল শুরু করবে বাংলাদেশ।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪০১ রান। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৩২৮ রানে অল আউট হওয়ায় টাইগারদের লিড ৭৩ রানের।

২ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। এ দিন সকালের সেশন ছিল নিউজিল্যান্ডের। আঁটসাঁট বোলিংয়ে অতিথি ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেন ওয়াগনার, বোল্ট, সাউদি, জেমিসনরা। বলা যায় রান পেতে বাংলাদেশকে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে।

প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে মাত্র ৪৫ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। ৭০ রানে দিন শুরু করা জয় আর ৮ রান যোগ করতেই ওয়াগনারের বলে আউট হন। মুশফিকুর রহিম রান পেতে কঠিন সংগ্রাম করেছেন। তাতে লাভ হয়নি। থিতু হয়ে বোল্টকে উইকেট উপহার দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর আগে করেন ১২ রান।

এর মাঝে আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল টিকে থাকতে কঠিন লড়াই করেন। প্রথম রান নিতে খেলেন ২৯ বল। এরপর ১ রানের ব্যবধানে দুবার জীবন পান। প্রথমে মুমিনুলের ফিরতি ক্যাচ ছাড়েন জেমিসন। এরপর নো বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান।

তবে এর পর মুমিনুল আর লিটন মিলে গড়েন শক্ত প্রতিরোধ। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে সুজনে যোগ করেন ৮৭ রান। নিখুঁত ব্যাটিংয়ে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখেন মুমিনুল ও লিটন। কিউইদের কোনো সুযোগই দেননি তারা।

দুজনের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে লিড পেয়ে যায় সফরকারী বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের করা ৩২৮ রান ছাড়িয়ে যাওয়ার মাধ্যমে এশিয়ার বাইরে প্রথমবার টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার পর প্রথম ইনিংসে পরে ব্যাটিং করে লিড পায় টাইগাররা।

সেই ধারাবাহিকতায় টেস্ট ক্রিকেটের ১৫তম ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এর আগে ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে ৬৪ রান করেছিলেন। সেঞ্চুরির সুবাস পেলেও তার আজকের ইনিংস থেমে যায় ৮৮ রানে।

ট্রেন্ট বোল্টের ভেতরে ঢোকা বলের লাইন বুঝতে ভুল করেন মুমিনুল। কিউই পেসারের লেগ বিফোরের আবেদনে আঙুল তুলতে সময় নেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক।

এর একটু পর আউট হন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ফিফটি পাওয়া লিটন দাসও। ডানহাতি ব্যাটসম্যান তার ১১তম টেস্ট ফিফটিকে শতকে রুপ দেওয়ার কক্ষপথেই ছিলেন। কিন্তু ৮৬ রানে থাকা অবস্থায় বোল্টের অনেক বাইরে করা বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটকিপারের কাছে ক্যাচ দেন তিনি।

ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ১১ ও ২০ রানে। ট্রেন্ট বোল্ট ও নেইল ওয়াগিনার দুজনেই তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)