আশাশুনির আগরদাড়ি হাই স্কুলে পরিত্যক্ত ঘরে ক্লাস চালান হচ্ছে

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :

আশাশুনি উপজেলার অন্যতম সুখ্যাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় আগরদাড়ি রহিমীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কক্ষের স্বল্পতায় পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরে ক্লাশ পরিচালনা করা হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টির সময় কাপড়চোপড় ভিজিয়ে বই সামলাতে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করতে না পেরে বিপত্তিতে থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ভোগান্তি কাটছে না।
উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ি রহিমীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এলাকার মানুষের সহায়তায় ১৯৮৮ সালে ৫ কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেড আধাপাকা ঘর নির্মান করা হয়েছিল। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী, ১২ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী রয়েছে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে সরকারি সহায়তায় পাকা বিল্ডিং করে মোট ৯টি কক্ষে ক্লাশ পরিচালনা করা হচ্ছে। ১৯৮৮ সালে নির্মীত টিনসেড ঘরের বয়স এখন ৩৪ বছর। ঘরের ছাউনির টিন মরিচা ধরে দুর্বল হয়ে গেছে, অসংখ্য স্থান দিয়ে পানি পড়ে। দেওয়াল ও মেঝের অবস্থাও খারাপ। মাঝে মধ্যে একটু সংস্কার করা হলেও এখন আর কোন কিছুতে ভাল হচ্ছেনা। দরজা, জানালা বয়সের ভারে ভেঙ্গে গেছে। ফলে পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি কক্ষে ক্লাস পরিচালনা যেমন বিপদজরক, তেমনি শিক্ষার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ১৯৮০ সালে নির্মীত অফিস বিল্ডিং এর অবস্থাও তথৈবচ। যেখানে শিক্ষক-কর্মচারী ও মূল্যবান কাগজপত্র রেখে স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে। আইসিটি বিল্ডিং ২০০২ সালে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট নির্মান করেছিল। এ ভবনটি কম্পিউটার ব্যবহার, লাইব্র্রেরী ও বিজ্ঞানাগার হিসাবে ব্যবহৃত। এ ভবনের অবস্থাও ভাল নয়। বৃষ্টির পানি ছাদ রসে ভিতরে পড়ে থাকে। ফলে মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও বইপত্র রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। সবমিলে বলতে গেলে বিদ্যালয়ের সকল কক্ষই চরম ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগি বা কষ্টসাধ্য।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর বলেন, এ বিদ্যালয়ে আমার যোগদানের অনেক আগেই ভবনগুলো নির্মান করা হয়। নির্মান মান কেমন ছিল বলতে পারবো না, তবে বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হয় ত্রুটি ছিল। টিনসেড ঘরটি দীর্ঘকালের। ঘর ব্যবহারের উপযুক্ত সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ৫ কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেড ঘরটি অতি দ্রুততার সাথে অপসারণ পূর্বক নতুন ভবন নির্মানের প্রয়োজন। আর বিল্ডিং দু’টি আশু সংস্কার করা গেলে এখনো অনেক দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
স্কুলের আজীবন দ্বাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি আনসার আলি বলেন, গ্রামের লোকজন মিলে পুরাতন টিনসেড ঘর নির্মান করা হয়েছিল। বর্তমানে ঘর ব্যবহার সম্ভব না হলেও কক্ষের অভাবে বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি মহোদয় ও ইউএনও মহোদয়সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন বিল্ডিং অনুমোদনের ব্যবস্থার করতে অনুরোদ জানিয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)