যেসব সবজি বেশি খেলেই ক্ষতি

স্বাস্থ্যসচেতন মানুষরা তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি রাখেন। কারণ শাক-সবজি সাস্থির জন্য অনেক উপকারী। চিকিৎসকরাও শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে যারা ওজন কমাতে চান, তারাও ডায়েট চার্টে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিন-ভিটামিন বেশি রাখেন। যা সবজিতে বিদ্যমান।

তবে জানলে অবাক হবেন যে, কিছু কিছু সবজি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। তাতে শরীরে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন সবজি বেশি খেয়ে ফেললে বিপদ হতে পারে-

বিট

বিট খাওয়া শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারী। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের ডায়েটে অনেক স‌ময়ই বিট থাকে। তবে বিট বেশি খেলেও বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। প্রস্রাবের রং লালচে হয়ে যেতে পারে। জিভের রং সাময়িক ভাবে লাল হবেই। তবে এই রং বদল নিয়ে খুব একটা আতংকিত হওয়ার কারণ নেই।

গাজর

গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। যা বেশি পরিমাণে শরীরে গেলে, ত্বকের রং বদলে কমলা হয়ে যেতে পারে। গাজর খাওয়া এমনিতে শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারী। ভিটামিন সি-এ ভরপুর গাজর খেলে দাঁত, চোখ ভালো থাকে। তবে গাজরও একটু পরিমাণ মেপে খাওয়াই ভালো।

ফুলকপি

ফুলকপিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই কম। তাই যারা কিটো ডায়েট বা লো-কার্ব ডায়েট করেন, তাদের ফুলকপির মতো সবজি খুব প্রিয়। বিশেষ করে কিটো ডায়েটের ক্ষেত্রে, ফুলকপি গুঁড়িয়ে ফুলকপির ভাত তৈরি করেন অনেকেই। তবে এই সবজিতে গুণ অনেক থাকলেও এমন একটি পদার্থ রয়েছে, যা হজম করা মুশকিল। তাই বেশি খেলেও পেটভার, অ্যাসিডিটির মতো নানা রকম পেটে সমস্যা হয়েই থাকে। ফুলকপি এমনিতে শীত কালের সবজি। তবে এখন সারা বছর পাওয়া যায়। বর্ষা বা খুব ভ্যাপসা গরমে ফুলকপি খেলেই অনেকের সমস্যা হয়।

লেবু

পাতিলেবুর গুণ নিয়ে আলাদা করে বলার প্রয়োজন হয় না। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পাতিলেবু প্রত্যেক দিন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। তবে লেবুর অ্যাসিডিক উপাদান বেশি শরীরে গেলেও ক্ষতি হতে পারে। দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। অনেকে শরীরের বিপাক হার বাড়ানোর জন্য খালি পেটে গরম জলে লেবুর রস চিপে খান। কিন্তু যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খালি পেটে অ্যাসিডিক উপাদান পেটে গেলে হজমের গোলমাল হবে। মারাত্মক যন্ত্রণাও হতে পারে।

মাশরুম

মাশরুম সবজি হিসাবে বেশি জনপ্রিয়। নানা রকম বিদেশি রান্নায়ও মাশরুম ব্যবহৃত হয়। রান্না করা সহজ বলে অনেকে তরকারিতেই মাশরুম দেওয়া হয়। মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন ডি এবং আরো নানা পুষ্টিগুণ। কিন্তু মাশরুন খাওয়ার আগে দেখে নিতে হবে, আপনার কোনো খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে কি না। যাদের খাবারে অ্যালার্জির প্রবণতা রয়েছে, তাদের মাশরুম খেলে সমস্যা হতে পারে। তাছাড়াও মনে রাখতে হবে সব রকম মাশরুম কিন্তু খাওয়ার জন্য নয়। এমনকি, কিছু মাশরুম এতটাই বিষাক্ত যে, হাত দিলেও বিপদ!

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)