কলারোয়ায় ভোট অনিয়মের অভিযোগ:দুই চেয়ারম্যান ও ১১ মেম্বার প্রার্থী পুনরায় ভোট গণনার দাবি 

কলারোয়া প্রতিনিধিঃ

ভাট গ্রহনের দূর্নীতি, ইভিএম ত্রুটি, সন্ত্রী কায়দায় ভোট গ্রহণ, অনিয়মের মাধ্যমে নিজের পাওয়া ভোটের সংখ্যা না জানানো, বয়ঃবৃদ্ধ পুরুষ-মহিলাদের জোর পূর্বক আঙ্গুল চেপে ধরে ভোট গ্রহণ, এভিএম এর মেশিন ত্রুটি, আইন শৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় তাদের ইচ্ছেমত ভোট সুবিধা, ভোট গণনার সময় পোলিং এজেন্টদের কক্ষের মধ্যে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেছেন সদ্যসমাপ্ত সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নৌকার প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার আনসার আলী ও স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস।

এছাড়া একই অভিযোগ করলেন-১১জন ইউপি মেম্বর প্রার্থী। এরা হলেন- ১নং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের মেম্বর প্রার্থী খন্দকার নুর হোসেন (সাহেব আলী), একই ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস ছাত্তার, ৩নং ওয়ার্ডের বৈদ্যুতিক পাখার প্রার্থী শরিফুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সজল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডের মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান, ৬রং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, ৬নং ওয়ার্ডের ঘুড়ি মার্কার প্রার্থী আমিরুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের মোরগ মার্কার প্রার্থী শেখ আসলাম আলী দুলাল, ৯নং ওয়ার্ডের সিলিং ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী মোনায়েম খান, ৯নং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মাজেদ দ্বয় বলেন- অনিয়মের কারণে সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ফলাফল স্থগিত কিংবা পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে কলারোয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা ওই অভিযোগ ও দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে নৌকার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার আনসার আলী বলেন, গত ২০সেপ্টেম্বর ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার ৯টি কেন্দ্রে নির্বাচন চলাকালে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, এভিএম অপারেটর ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় অধিকাংশ বয়ঃবৃদ্ধ পুরুষ-মহিলা ভোটারদেরকে জোর পূর্বক আঙ্গুল চেপে ধরে ভোট গ্রহণ করায় আকাংখিত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে নাই। এছাড়া ইভিএম এর মেশিন বারবার ত্রুটি থাকায় ভোটারগণ সুষ্ঠ ভোট দিতে পারে নাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন তার সন্ত্রাসী কর্মীগণ নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট, ইভিএম অপারেটর ও শান্তি শৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় তাদের ইচ্ছেমত ভোট গ্রহণ ও বাধা সৃষ্টি করেছে। ভোট গণনার সময় তার কোন পোলিং এজেন্টদেরকে কক্ষের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যা অনিয়মের মধ্যে ভোটের ফলাফল ঘোষনা করা হয়। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস বলেন-রাত আনুমানিক ৯টা ৪০মিনিটে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় কতগুলো ভোট কাস্ট হলো এবং আমি কয়টি ভোট পেলাম তা রেজাল্টসিট আমাকে দেন নাই।

এমতাবস্থায় উক্ত অনিয়মের কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় ভোট গণনা করার আবেদন করেন। এদিকে হেলাতলা ইউনিয়নের ১১জন ইউপি সদস্য প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রার্থীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার আনসার আলী, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস ও ৯টি ওয়ার্ডের ১১ মেম্বর প্রার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্র্নিং অফিসার দায়িত্বপ্রাপ্ত হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ বরাবরে গণদরখাস্ত করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)