স্বল্প পরিসরে পালিত হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চড়কপূজা
আঃজলিল:
বাঙালি ও বাংলা সাহিত্য লোকগাথা,লোকজ উৎসবে ভরপুর। বার মাসে তের পার্বন যেন বাঙালির হৃদয়কে আন্দোলিত ও বিমোহিত করে।বাংলা বার মাসের নামের সাথে যেমন জড়িয়ে আছে চাঁদের ২৭ নক্ষত্রের সম্পর্ক তেমনি জড়িয়ে আছে ঋতু পরিক্রমার সাথে সাথে প্রকৃতি,পরিবেশ ও সামাজিক/ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্পর্ক।
চাঁদের একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে ২৮ দিন সময় লাগে। প্রদক্ষিণকালে চাঁদ বিভিন্ন নক্ষত্রের কক্ষপথে অবস্থান করে।সর্বশেষ চাঁদ অবস্থান করে চিত্রা নক্ষত্রে তাই বাংলা মাসের নাম হয়েছে চিতা বা চৈত্র। আর এ সময় বাঙালি হিন্দুরা মেতে ওঠে চড়কপূজা বা গজনে।
চড়কপূজা চৈত্রের শেষদিন শুরু হয়ে বৈশাখের ০২/০৩ দিন পর্যন্ত চলে।এটি চৈত্র মাসে পালিত হিন্দু দেবতা শিবের গাজন উৎসবের একটি অঙ্গ এবং এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে যা চৈত্র সংক্রান্তির মেলা নামে পরিচিত।
চড়ক পূজা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের যশোর, খুলনা,ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে পালিত হয়।
চড়ক পূজার সন্ন্যাসীরা পূজার কয়েকদিন আগে থেকে কঠোর ব্রত ও সংযম পালন করেন। চড়কের দিন সন্ন্যাসীরা বিশেষ ফুল-ফল নিয়ে বাদ্যযন্ত্র সহকারে নানা ভঙ্গিমায় শিবপ্রণাম করেন।এছাড়া দেবতার প্রতি অবিচল ভক্তি ও নিষ্ঠা প্রদর্শনের জন্য কাঁটাজাতীয় গাছ খেজুর গাছে মাথায় চড়ে গাছের খেজুর ভেঙে ভক্তদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন এবং গাছ থেকে নামার সময় খেজুরের থোকা মুখে নিয়ে উল্টোভাবে গাছ থেকে নেমে আসেন।পূজার মূল উপজীব্য ভক্তিভরে শিবের তুষ্টির জন্য ভক্তের আত্ম সমার্পণ।
বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় ধর্মীয় আচার-আচরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু মেলা আয়োজনের কোন বাহুল্য নেই।
প্রেরক,
Please follow and like us: