সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে পণ্য উঠানো নামানো চতুর্থ দিনের মত বন্ধ
আসাদুজ্জামানঃ
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে পণ্য উঠানো নামানো টানা চতুর্থ দিনের মত বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। এরফলে মালামাল খালাসের অপেক্ষায় ভোমরা বন্দরে দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে পন্যবাহি ট্রাকের।
এছাড়া ভারতে ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় প্রায় ৬’শ পন্য বাহি ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২’শ কাঁচামাল বাহি ট্রাক রয়েছে। ব্যবসায়ীরা দু’বার লেবার বিল দিতে রাজী না হওয়ায় এ অচল অবস্থার তৈরী হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুব দ্রুত এসব মালামাল ভোমরা বন্দরে খালাস না করতে পারলে তারা প্রচুর
ক্ষতির সম্মুখিন হবেন।
আমদানি ও রপ্তানীকারক এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক আবু হাসান বলেন, ট্রাক প্রতি (৫০ টনে) লেবার সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের বর্তমানে মোট ব্যয় হয় ১০ হাজার ৯২০ টাকা। যা ডাবল করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্য যে কোন বন্দরে এ ধরনের
কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়না। বাড়তি এই বকশিসের টাকা দিতে চাননা ব্যবসায়ীরা।
যার কারনে তারা পন্য উঠানো-নামানো বন্ধ করে দিয়েছেন।তবে, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ট্রাক প্রতি
লেবার ঠিকাদাররা তাদের বিল দেন মাত্র ৩শ’ ৮০ টাকা। পণ্য খালাসের এই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এতদিন ট্রাক প্রতি ৫ থেকে ৭শ’ টাকা বকশিস দিতেন ব্যবসায়ীরা। এই বখশিসের টাকা বন্ধ করে দেয়াতে কাজ বন্ধ
করে দিয়েছেন শ্রমিকরা।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, শ্রমিকরা পন্য উঠানো-নামানো বন্ধ করে দেয়ায় ভোমরা বন্দরে মালামাল খালাসের অপেক্ষায় ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে।
এছাড়া ভারতে ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় প্রায় ৬’শ পন্য বাহি ট্রাক আটকে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২’শ কাঁচামাল বাহি ট্রাক রয়েছে। তিনি আরো জানান, খুব দ্রুত এসব মালামাল ভোমরা বন্দরে খালাস না করতে পারলে তারা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখিন হবেন।
উল্লেখ্যঃ লেবার বিল বাড়ানোর দাবীতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকরা ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে পণ্য উঠানো নামানো বন্ধ করে।