মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় ছাত্রকে কাঠ দিয়ে পেটালেন শিক্ষক

অনলাইন ডেস্ক:

মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় ছয় বছরের মাদরাসার এক ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে হাফেজ মো. আল আমিন নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৩ মার্চ) ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (১ মার্চ) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ফারাকপুর ফজলুল উলুম কওমিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার শিশুটি তার মাকে দেখার জন্য বাড়িতে যায়। মায়ের সঙ্গে দেখা করে মাদরাসায় ফিরে গেলে শিক্ষক হাফেজ মো. আল আমিন শিশুটিকে চেলা কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারেন। এতে শিশুটির হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে ফুলে যায়।

বিষয়টি জানতে পেরে পরদিন নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা মাদরাসায় যান এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। প্রতিকার না মেলায় বুধবার সকালে শিশুটির মা ভেড়ামারার ইউএনও সোহেল মারুফের কার্যালয়ে যান।

এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘শিশুটির বাবা পাঁচ-ছয় বছর যাবত অপ্রকৃতস্থ। মা বড় আশা করে ছেলেকে ধর্ম শিক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন মাদরাসায়। সোমবার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় শিক্ষক আল আমিন তাকে চেলা কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারেন। তার মা আমার কাছে বিচার দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শিশুটির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ি। তাৎক্ষণিক মাদরাসার সুপার হাফেজ মো. রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সঞ্জয়, পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম নজুসহ অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. আল আমিনকে আমার কার্যালয়ে ডেকে পাঠাই।’

ইউএনও সোহেল মারুফ বলেন, ‘নির্যাতিত শিশুটির মা অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্ষমা করে দেন। পরে শিক্ষক আল আমিনের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয় এবং তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় মাদরাসার অন্য শিক্ষকদেরও কঠোরভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার নামে শিশু নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)