সারাদেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু রোববার থেকে

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আগামীকাল রোববার থেকে করোনার টিকাদান কার্যক্রম একযোগে শুরু হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জনস্বাস্থ্য-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, টিকাদান কার্যক্রমের প্রথম দিনে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীও সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যাতে টিকা গ্রহণ করতে পারেন সেজন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাসপাতালে তারা ওই দিনই টিকা নিতে পারবেন।

চিঠিতে বলা হয়, টিকা নিতে স্পট রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে ওইদিন বিভিন্ন হাসপাতাল ও টিকাদানকেন্দ্রে স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা থাকায় সময় সাপেক্ষ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে ৭ ফেব্রুয়ারির আগেই সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে স্বল্প সময়ে টিকা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। এই ব্যবস্থাটি শুধুমাত্র ৭ ফেব্রুয়ারির জন্য প্রযোজ্য হবে। পরবর্তীতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতালে টিকা নিতে পারবেন।

৭ ফেব্রুয়ারি টিকা প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হাসপাতালের তালিকা:

বিএসএমএমইউ : সাংবিধানিক পদধারীরা, কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়।

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ : জননিরাপত্তা বিভাগ।

পিলখানা বিজিবি হাসপাতাল : সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ঢাকা, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, মিরপুর এবং পোস্তগোলা : প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : অর্থ বিভাগ, অর্থ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল : বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল: স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট : পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট : ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান : শিক্ষা ও ভূমি মন্ত্রণালয়।

শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল : পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়।

জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট, ঢাকা : বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় ইস্টিটিউট অফ বার্নস অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

জাতীয় বাতজ্বর জনিত হৃদরোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র, আগারগাঁও : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয় ক্লিনিক : আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টার : যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

আজিমপুর মা ও শিশু হাসপাতাল : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতাল, শ্যামলী : খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকা : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল, লালবাগ : নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

নাজিরা বাজার মাতৃ সদন : শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, মিরপুর : ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

ঢাকা শিশু হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা : রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনা টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন নার্স, চিকিৎসক, সেনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার ২৫ জন টিকা নেন। পরদিন রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রাথমিকভাবে ৫৪১ জনকে টিকা দেয়া হয়। এরমধ্যে ২৯৬ জন চিকিৎসক, ৩২ জন নার্স এবং অন্যান্য পেশার ২০৮ জন রয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)