থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার

নিউজ ডেস্কঃ

ইংরেজি বছরের শেষ রাত থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে অপ্রত্যাশিত বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর লক্ষ্যে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ লক্ষ্যে ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন নয়, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও এলাকায় নজরদারি করছেন। গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া থার্টিফার্স্টের রাতে ওই এলাকায় বহিরাগত কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নতুন বছর উদযাপিত হবে। এ বছর কোনো আনুষ্ঠানিকতা উদযাপনে থাকছে না।  কোনো উন্মুক্ত স্থানে থাকছে না অনুষ্ঠান।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারায় প্রবেশের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা তল্লাশি চালাচ্ছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনেককে।

তল্লাশি নিয়োজিত পুলিশ সদস্য জানান, অভিজাত এলাকাসহ রাজধানীতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করা হচ্ছে।

গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গুলশান-বারিধারা-বনানী এলাকায় প্রবেশের জন্য রাত ৮টা থেকে আমতলী ও বনানী ২৭ নম্বর সড়ক খোলা রাখা হবে। বাকি সব সড়ক বন্ধ করা হবে।

পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরো বলেন, সবকিছু কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। রাতভর সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই থাকবে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। এছাড়া সুউচ্চ ভবনগুলো থেকে নজরদারি, মোবাইল পেট্রোলিং, হোটেল কেন্দ্রিক বিশেষ ডিপ্লয়মেন্ট থাকবে। তাছাড়া কূটনৈতিক পাড়ায় থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দা ছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বন্ধ। তাই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণা কম থাকবে। কোনো প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়াও হবে না।

অন্যদিকে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, করোনার এই দুর্যোগে নিজ নিজ অবস্থান থেকে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন করা ভালো। এজন্য ত্রিমাত্রিক নজরদারি করা হচ্ছে। সাদা পোশাকে নজরদারি, পোশাকধারী টহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে অপপ্রচার রোধে সাইবার মনিটরিংও থাকবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)