তালার কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম পরীক্ষা স্থগিত জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

তালার কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগে অনিয়মের কারনে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। শনিবার (১২সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারীর শূন্য পদে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০মিনিট পর এইঘটনা ঘটে।

সরজমিনে গেলে, ঐ পদের তাপস ঘোষ নামে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগে করে বলেন , দশদিন পূর্বে আমি প্রধান শিক্ষক গৌতম দাশের সাথে অত্র স্কুলের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য চুক্তিবদ্ধ হই। গত মঙ্গলবার রাতে প্রস্নপত্র দেওয়ার নামে তিনি আমার কাছ থেকে দেড়লাখ টাকা নগদ নেন। অতপর তালবাহানা শুরু করেন। আজ সকালে এসে গোপন সুত্রে জানতে পারি তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে চুড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি এখন চরমভাবে প্রতারিত হয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছি। এ কথা বলতে বলতে তাপস ঘোষ বিষয়টা নিয়ে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ও তার চিৎকারে স্থানীয়রা এবং গনমাধ্যম কর্মীরা সেখানে জমা হয়।

অবস্তা বেগতিক দেখে নিয়োগ পরীক্ষায় আসা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের লোকজন নিয়োগ স্থগিত রেখে চলে যায়। অতপর স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তালা উপজেলা চেয়ারম্যান সেখানে গিয়ে তাপস ও স্কুলের ম্যানিজং কমিটির সাথে দফারফা শেষে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। যদিও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি বানোয়াট বলে উড়িয়ে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।কুমিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রকিকুল ইসলাম জানান, ম্যানিজং কমিটি নিয়োগের নামে অধিকাংশ প্রার্থীর নিকট হতে গোপনে ১০-১৫ লক্ষটাকা গ্রহন করেছে। গতকাল ৯তারিখ সাকালে আমি বিষয়টি জানতে পেরে এর প্রতিকারের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি দরখাস্ত করি। আজ সকালে এসে কুমিরা বাজার এসো জানতে পারি স্কুলের ভিতরে টাকার বিষয়ে গোলযোগ চলছে। এ সময় তাপস ঘোষ প্রধান শিক্ষকের এই প্রতারনার কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে স্কুলের ম্যানজিং কমিটি ও উপজেলার চেয়ারম্যান ১থেকে দেড় মাসের মধ্যে টাকা ফেরতের ব্যাবস্থা হবে বলে দফারফা করে।

এ বিষয়ে কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম দাশ জানান, এসব বানোয়াট তাপস আমার নামে অপপ্রচার দিয়ে বেড়াচ্ছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, দুই তিনদিন আগেও তাপস আমার কাছে এসেছিল আমি তাকে বলেছিলাম কারর সাথে অবৈধ লেনদেন থেকে বিরত থাকতে। যদি এ ধরনের কাজ সে বা কেউ করে থাকে তার দায়ভার আমি নেবনা। যদি প্রধান শিক্ষক বা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে সু-নিদৃষ্ট প্রমান পাই তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্তা নিব।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলা প্রশাসক আমাকে বিষয়টি জানালে আমি সাথে সাথে নিয়োগ পরীক্ষা বন্দ করে দিই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম দাশের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।

বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামালের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আমি শোনা মাত্র জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করে আজ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে দিই । পরবর্তী নিয়োগের ব্যাবস্তা তিনি গ্রহন করবেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)