যেসব রোগমুক্তির জন্য গাব খাওয়া জরুরি

আমাদের দেশে খুব সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে গাব। যা দুই ধরনের হয়ে থাকে। দেশি এবং বিদেশি। যদিও দেশি গাবের চাইতে বিদেশি গাবের চাহিদা বেশি। গাব বা বিলাতি গাব খেতে দারুণ সুস্বাদু ও মিষ্টি।

গাবের আদি নিবাস ফিলিপাইন। তবে বাংলাদেশে গ্রামেগঞ্জে এই ফলের দেখা মেলে। এই মৌসুমে ফলের দোকানগুলোতে দেখা যায় এই ফলটি। আমাশয় ও পেটের অসুখে এই গাছের ছাল বেশ উপকারী। এছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খেতে পারেন কাঁচা ও পাকা গাব। এছাড়াও গাবের রয়েছে আরো অনেক স্বাস্থ্যগুণ। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

হাইপারটেনশন কমায়

উচ্চ পটাসিয়াম উপাদান থাকায় রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটায়। এটি শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে, কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের উপর চাপ কমায় এমনকি রক্তচাপও কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা আঁশ শরীরে কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটায়

গাবে থাকা আয়রন দেহে লোহিত কণিকার কোষের উন্নতি ঘটায়। দেহের গুরুত্বপূর্ণ টিস্যুগুলোতে অক্সিজেন প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এছাড়া এটি পেশী গঠন, চুলের বৃদ্ধি এবং হজমক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

গাবে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘এ’ রয়েছে। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি, ত্বকের জন্য ক্ষতিকর রেডিক্যাল কমিয়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই দুই ভিটামিন বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এটি জটিল রোগ প্রতিরোধ এবং ত্বকের সুস্থতার জন্য বেশ কার্যকরী।

হজমে সহায়ক

গাবে প্রচুর আঁশ থাকার কারণে এটি হজমক্রিয়া উন্নতিতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক জাতীয় সমস্যা দূর করে।

ত্বকের যত্ন

গাব খেলে বা এর তৈরি রূপচর্চার উপাদান ব্যবহার করলে ত্বকের প্রদাহ কমায়।

এছাড়াও গাব খেলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি বুকে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং অ্যাজমা দূর করে। এতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)