পাটকেলঘাটায় মারপিটের অভিযোগে গ্রেফতার দুই

পাটকেলঘাটায় ইজ্ঞিন  ভ্যানচালককে মারপিটের  ঘটনায় ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা  হল থানার খলিষখালী ইউনিয়নের টিকরামপুর গ্রামের সুলতান সরদরের ছেলে তুহিন সরদার (২৫)ও অপর জন হল  একই এলাকার শহর আলী সরদারের ছেলে বাবু সরদার (৩০)।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত সোমবার (১০আগষ্ট) রাত ৮টায়  দলুুয়া বাজারে ইজ্ঞিন ভ্যান চালক জয়নাল সরদারের ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে ঘের সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে  সুলতান সরদার, তুহিন সরদার, বাবু সরদার, ও মোস্তাক সরদার তাকে পিটিয়ে  গুরত্বর জখম  করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর  হাসপাতালে পাঠায়। অতপর গত বুধবার(১৩আগষ্ট)  সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করে। শুক্রবার রাতে এস আই জয়বালা তার সঙ্গীয় ফোর্সের সহয়তায় বাবু সরদার ও তুহিন সরদার কে গ্রেফতার করে। পাটকেলঘাটা থানার  এস. আই. জয়বালা জানান,সুলতান সরদার ও মোস্তাক সরদার পলাতক থাকায় তাদেরকে  গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে  তাদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা  জানান, এক বছর পূর্বে সুলতান সরদার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য আওয়ামীলীগ থেকে   বহিস্কার হন। অতপর সে বেপয়রা হয়ে ওঠেন, কিছুদিন আগে সে দলুয়া বাজার এলাকার কতিপয়   পল্লীচিকিৎসক রবিন মন্ডল, সঙ্কর মন্ডল, অরুন গাইন, গার্মেস্ন দোকাদার ভবেন সহ কিছু সংখ্যালঘু ব্যাবসায়ীদের  কাছ থেকে সর্বমোট ৪৭০০০টাকা চাঁদা আদায় করে।এছাড়া এলাকার মাদকসেবী ও ব্যাবসায়ীদের সাথে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। তার নামে  ২টি  হত্যামামলা সহ একাধিক মামলাও রয়েছে। তার দাপট এতটাই যে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। তারা আরও জানায়,বাবু সরদার  কিছুদিন আগে মোবাইল টাওয়ারে চুরির দায়ে জেল খাটে। তারপর সে  এলাকায় এসে  বেপরয়া হয়ে উঠেছে। এমন কেন অপকর্ম নেই সে করেনা । আমারা  তার শাস্তির দ্বাবী জানাই।
বিষয়টি নিয়ে সুলতান সরদারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করে জানান, এক সার্থনেশী মহল আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সবই মিথ্যা বনোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ওপ্রতিবাদ জানাই।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, , গত ১৩ আগষ্ট সাদ্দাম হোসন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে মামলা নং-২ । এই ঘটনায় ২ জন আসামীকে  গ্রেফতার করা হয়েছে।  গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)