শ্যামনগরে বিএনপির ত্রাণ বহরে ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা:আহত-১০

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির ত্রাণ বহরে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। রোববার সকালে উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের চুনা ব্রিজের কাছে এ হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপির কমপক্ষে ১০ জন নেতা কর্মীরা আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল।

আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আজিবর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা মাসুদ, ছাত্রদল কর্মী রাসেল, যুবনেতা আনিছ, মিঠু, জহিরুল, মোস্তফা মিন্টু, রবিউল, মামুন ও ছালাম।

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, তার নেতৃত্বে জেলা বিএনপির যুগ্নআহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌর মেয়র আলহাজ¦ তাজকিন আহমেদ চিশতি, যুবদল সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক, কৃষকদল সভাপতি আহসানুল কাদির স্বপন, যুবদল সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুলসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা বেলা ১১টার দিকে শ্যামনগরে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কাশিমাড়ি ইউনিয়নের চুনা ব্রিজের নিকট পৌছালে স্থানীয় সংসদ সদস্য জগলুল হায়দারের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক রাজিব হায়দারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর দুই দফায় অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারী এ সময় তাদের কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। একই সাথে ভাংচুর করা হয় তাদের একটি প্রাইভেট কারসহ ৮/১০ টি মোটরসাইকেল। তিনি আরো জানান,হামলাকারীরা তাদের ভয়ে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তবে, সংসদ সদস্য জগলুল হায়দারের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক রাজিব হায়দার ঘটনা স্থলে ছিলেন না এবং বিষয়টি জানেন না বলে দাবী করে বলেন, পরে শুনেছি যে, যারা ত্রাণ দিতে যাচ্ছিল তাদের নিজেদের মধ্যে কি ঝামেলা হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.সৈয়দ ইফতেখার আলী দুপুরে তার সাতক্ষীরা শহরের কামলনগরের বাড়ির সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসাথে তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু জানান,আমরা ত্রাণ বিতরণের করার জন্য কাশিমাড়িতে যাওয়ার পথে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়।
শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন জানান,আমি এখন সাতক্ষীরার শহরে আছি। তবে বিষয়টি আমি শুনেছি বিএনপির কিছু লোকজন সামাজিক দূরত্ব না মেনে ত্রাণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে শ্যামনগরে পৌছালে স্থানীয় জন সাধারণ তাদের বাধাদেয়।
এদিকে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমূল হূদার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনটি রিসিব করেননি ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)