লাখে ৩০ জন আক্রান্ত হলে রেড জোন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকাকে রেডসহ তিনটি জোনে ভাগ করা হবে। প্রতি এক লাখে যদি ৩০ জন বা এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত থাকে তবে সে এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে আজকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। রোববার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার স্বাস্থ্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোন এলাকা রেড জোন, কোন এলাকা ইয়েলো জোন এবং কোনটি গ্রিন জোন সেটি অ্যাপের মাধ্যমে চিহ্নিত করা থাকবে। আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে গেলে রোড জোন পর্যায়ক্রমে ইয়েলো ও গ্রিন হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তার কাজটি করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকায় প্রতি এক লাখে যদি ৩০ জন বা এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত থাকে তবে সে এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ৩ জনের বেশি কিন্তু ৩০ জনের কম থাকলে সেই এলাকাকে ইয়েলো এবং এক বা দু’জন বা কেউ না থাকলে সেটাকে গ্রিন জোন বলা হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান খান বলেন, যে এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে সেই এলাকা সম্পূর্ণ ব্লক রাখা হবে। সেই এলাকায় কেউ ঢুকবেও না, কেউ বেরও হবে না। ওই এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব জিনিসের দরকার হবে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করে করোনা মানচিত্র আপডেট করা হবে। আক্রান্তের ঘনত্ব অনুযায়ী মূলত এই মানচিত্র হবে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, পুরো বিষয়টিই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। জোনে বিভক্ত করে একটি তালিকা করে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজকেই পাঠিয়ে দেব। প্রধানমন্ত্রী কাল সার্বিক বিষয়টি দেখে সংযোজন বা বিয়োজন করে সিদ্ধান্ত দেবেন।

প্রাথমিকভাবে কোন এলাকাগুলোকে রেড জোনে রাখা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রামের যেসব এলাকাগুলোতে সংক্রমণ বেশি সেগুলো রেড জোনে থাকবে। এছাড়াও অন্যান্য যেসব জেলায় সংক্রমণ বেশি সেগুলোও রেড জোনে রাখা হবে।

এর আগে সচিবালয়ে এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রতিদিন টেস্ট বাড়ছে, রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এই প্রবণতা রোধ করতে হবে। এর জন্যই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী আমরা একটা  পরিকল্পনা তৈরি করে দেব। এ বিষয়ে নীতিগতভাবে আলোচনা হয়েছে। এ পরিকল্পনা সিটি কর্পোরেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মিলে বাস্তবায়ন করা হবে।

এদিন তিনি আরো বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জোন ভাগ করা হবে। যে জোনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হবে, সেই এলাকাটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। বিশেষজ্ঞরা যেভাবে পরামর্শ দেবেন আমরা সেভাবে কাজ করবো।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)