পাওবো’র জন্য অপেক্ষা না করে মুন্সিগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কারে স্বেচ্ছাশ্রমে স্থানীয়রা

প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। ধ্বংস হয়েছে মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবন। মুসলমানদের সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। সরকারিভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বাঁধ নির্মাণে তেমন কোনো ভূমিকা না থাকায় ঝুঁকি ও আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে হয় উপকূলের মানুষের। এ কারণে নিজেদের জান-মাল নিরাপত্তায় স্বেচ্ছায় বাাঁধ নির্মাণে কাজ করছে স্থানীয়রা।
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ আদি জামে মসজিদের সামনে ২০০ ফুট ওয়াপদা ভেড়িবাধের ভয়াবহ অবস্থা। যেকোনো সময় ভেড়িবাধটি ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পাওে এলাকা। প্লাবিত হতে পারে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার বসতবাড়ি, মৎস ঘের ও কাঁকড়া প্রকল্প।
স্থানীয় সচেতন মহল জাহাঙ্গীর সরদার, মোফাজ্জল হোসেন, রুহুল আমিন গাজী, ফরিদ মোল্লা, মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বাঁধ নির্মাণ কমিটি তৈরি করে এলাকার মানুষের অর্থায়নে স্বেচ্ছায় কাজ করা শুরু করে। শনিবার থেকে স্বেচ্ছায় বাধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ্ণ বাধের বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ রক্ষার্থে স্বেচ্ছায় বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করেছি। নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন শ্যামনগর উপজেলাা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাাান আবুল কাশেম মোড়ল।
তবে, এলাকাবাসীরা জানান তারা স্বোচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ধরণের কাজের গোপন প্রাক্কলন তৈরী করে বিল তুলে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় বলে অতিতের বহু অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী এই বাধ সংস্কারে স্বেচ্ছাশ্রনের এই কাজের যাতে বিল তুলে নিতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)