ঈদের দিন দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় তালায় কাজের মেয়েকে নির্যাতন

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারের এমবিবিএস ডাক্তার বরকতউল্লাহর বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার খালিদ সাইফুল্লাহ বাসার কাজের মেয়ে রানী খাতুনকে (১৩) ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে তার একটি হাত। ঈদের দিন সোমবার দুপুর বেলা ঘরের দরজা খুলতে দেরি করায় পাটকেলঘাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে মেয়েটি।

অভিযোগ রয়েছে, পাটকেঘাটার ডাক্তারের ছেলে খালিদ সাইফুল্লাহ ও তার স্ত্রী লাবনী প্রায় শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ঈদের দিন দুপুরে সে ঘর পরিষ্কার করছিল। এ সময় দরজায় ধাক্কা দেন সাইফুল্লাহ। দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় তার উপর নির্যাতন চালায়।

ডা. বরকত ও তার স্ত্রী জানান, তার ছেলের কাছে তারা অসহায়। নির্যাতিত শিশু রানীর বাড়ি যশোরের খেদাপাড়ায়। রানীর জন্মের সময় তার মা মারা যায়। এ সময় তারা মেয়েটিকে এনে নিজের মেয়ের মতোই মানুষ করে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেয়েটির পাশে দাঁড়ানোর মতো কিংবা কোথাও জিডি বা বিচার চাওয়ার মতো কেউ নাই। বর্তমানে মেয়েটি সদর হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে তার পিতা মাতাও অবস্থান নিতে পারছে না। তবে অভিযুক্ত খালিদ সাইফুল্লাহ ও তার স্ত্রী বাসায় তালা মেরে সরে পড়েছে বলে জানা গেছে।

পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, ইতিমধ্যে নির্যাতনের শিকার মেয়েটির সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছেন। নির্যাতিত শিশুটি দ্রুত থানায় অভিযোগ করবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)