ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ধেঁয়ে আসছে; আশাশুনিতে ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট, ১০৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

সুপার সাইক্লোন আম্ফান এর প্রভাবে মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরের পর থেকে আশাশুনি উপজেলার উপর দিয়ে হালকা বাতাস ও একটানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সমস্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য আঘাতের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এপর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের পাউবো’র বেড়ী বাঁধের অনেকগুলো স্থানে চরম ঝুকি রয়েছে। এছাড়া বড়দল, বুধহাটা, কুল্যা ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্টের বাঁধও ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হলো, কুড়িকাহুনিয়া, চাকলা, কোলা, ত্রিমহনা, দিঘলারআইট, কল্যানপুর, হিজলিয়া, মাড়িয়ালা, কলিমাখালী, বলাবাড়িয়া, দয়ারঘাট-জেলেখালী, বিছট, ভোলনাথপুর, মনিপুর, খাজরা, কাকবাসিয়া, কেয়ারগাতি, নওয়াপাড়া, বুধহাটা, বাহাদুরপুর, কুল্যা গ্রামের কাছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ী বাঁধের অবস্থা নাজুক হয়ে আছে। কয়েকটি পয়েন্টে ইতিমধ্যে কয়েক দফা ভাঙ্গনের ঘটনাও ঘটেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁধ নজরে রেখে সম্ভাব্য প্রতিকূলতা রোধের চিন্তা মাথায় রাখেছেন প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় আশাশুনির উপকুলে আঘাত হানলে উপজেলার বহু এলাকা তছনছ হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। এজন্য ১১ ইউনিয়নে ২৬টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ১০৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনার জন্য পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এপর্যন্ত চরম ঝূঁকিতে থাকা এলাকার সহ¯্রাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সিপিপি সদস্যরা ব্যাপক প্রচার ও মানুষের পাশে থাকতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ১১ ইউনিয়নে ট্যাগ করে পৃথক পৃথক ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। জরুরী যোগাযোগের জন্য ০১৭৭৯৫০৯০৩৫, ০১৭১৬০৯২৮৯৬, ০১৭১৩৩৭৪১৪৭ ও ০১৭১৯৫৩৭১৩২ মোবাইল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলা কোলা এর ঝুকিপূর্ন ভেরিবাধ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। এ সময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকোশলী মো: নাহিদুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ঝুকিপুর্ণ বাধগুলোতে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয় কেন্দ্রও পরিদর্শন করেছেন। এসব স্থানে স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি ও কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তাদের সাথে কথা বলেছেন। সিপিপি সদস্যরা সকলকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে ও ঘূর্ণিঝড়ের অনিষ্ট থেকে আত্মরক্ষায় করনীয়তার বার্তা নিয়ে সকল এলাকায় মাইকিং করে চলেছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)