খুলনার চিংড়ি শিল্প হুমকির মুখে 

খুলনার ডুমুরিয়ায় গলদা ও বাগদা পোনা সংকট, দাম বৃদ্ধি ও হিমায়িত বাগদা বিক্রি দাম কম হওয়ায় চিংড়ি চাষীরা হতাশায় ভুগছেন। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বিদেশে রপ্তানি বন্ধ থাকায় চাষিরা দেনায় জর্জরিত হয়ে বেকায়দায় পড়েছে।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে আশি’র দশক থেকে চিংড়ি চাষ হয়ে আসছে। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। চলতি বছর রপ্তানি বন্ধ থাকায় অধিকাংশ কোম্পানি চিংড়ি বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে চিংড়ি চাষের ভরা মৌসুমে প্রতি কেজি  ৪ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছরে যা ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। চিংড়ি চাষীরা প্রতি বিঘা জমির হারি নেয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। চলতি বছরে করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় ডুমুরিয়ায় চলতি বছরে সরবরাহ ৮০ শতাংশ কম বলে জানান খুলনা বিভাগীয় চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও গালফ হ্যাচারী মালিক গোলাম কিবরিয়া রিপন।
তিনি আরও জানান, মাদার সংকটের কারণে কোম্পানি চাহিদা অনুযায়ী পোনা উৎপাদন করতে পারছি না। এ কারণে এ বছর পোনার দাম বেশি। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষের অধ্যুষিত এলাকা।ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১১ হাজার ১৪৬ হেক্টর গলদা চিংড়ি চাষ হয় ও ৬ হাজার ৭৮১ হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়। পরিবহন সংকট, বাড়তি উৎপাদন খরচ ইত্যাদি কারণে চিংড়ি পিএল এর দাম বেশি হওয়ায় উপজেলার চিংড়ি চাষীরা এবার তাদের ঘেরে পিএল ছাড়তে হিমশিম খাচ্ছেন।
চিংড়ি চাষী দিঘুল রায় জানান, এবার বড় বিপদে আছি। সব কিছুর দাম বেশি, রেণুর দাম অন্য বছরের থেকে ৩/৪ গুণ বেশি তারপরও ঠিকমত তা পাওয়া যাচ্ছে না। আর বড় বাগদার দাম অনেক কম।
এ ব্যাপারে সরকারের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ডুমুরিয়া উপজেলার চিংড়ি চাষীরা।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)