ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে যা যা জানা জরুরি

অনেক প্রতিক্ষার পর এখন পাওয়া যাবে ই-পাসপোর্ট। নতুন এই পাসপোর্ট সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক তথ্য জানা নেই। যার ফলে ভুল ধারণা থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাইতো যারা ই-পাসপোর্ট করতে আগ্রহী তাদের এ সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জানা জরুরি।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে যা যা জানা জরুরি-

> মেয়াদ অনুযায়ী ই-পাসপোর্টের সর্বোচ্চ ফি ১২ হাজার টাকা আর সর্বনিম্ন ফি ৩৫০০ টাকা।

> বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীর জন্য সর্বোচ্চ ফি নির্ধারিত হয়েছে ২২৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ফি ধরা হয়েছে ১০০ ডলার। আর বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ফি ২২৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ফি ৩০ ডলার রাখা হয়েছে।

> ই-পাসপোর্ট হবে ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার। তিন ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে ই-পাসপোর্ট। সেই অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

> বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতিজরুরি ফি ৭৫০০ টাকা। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৭ হাজার ও অতিজরুরি ফি ৯ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।

> বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ ও অতিজরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা। ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সাধারণ ফি ৭ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার ও অতিজরুরি ফি ১২ হাজার টাকা দিতে হবে।

> অনলাইনেই পূরণ করা যাবে ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র। এছাড়া পিডিএফ ফরম্যাট ডাউনলোড করে কম্পিউটারে ফরমটি পূরণ করা যাবে।

> ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। এতে কোনো ছবির প্রয়োজন হবে না। কোনো ধরনের কাগজপত্রও সত্যায়িত করতে হবে না।

> যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি/স্মার্ট আইডি কার্ড) নেই, তাদের পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করে ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে।

> ১৮ বছরের নিচে সব আবেদনকারীর ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। তারা দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্যে আবেদন করতে পারবেন না, তবে বয়স আঠারোর বেশি হলে তখন দশ বছর মেয়াদের পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে।

> দেশের অভ্যন্তরে নিয়মিত পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত কর্মদিবসের মধ্যে ডেলিভারি দেয়া হবে। জরুরি পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে। আর অতিজরুরি পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা।

> কূটনৈতিক পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার উইং বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদন করতে হবে। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে কোনো অতিরিক্ত তথ্য সংযোজন বা ছবি পরিবর্তনের প্রয়োজন না হলে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিতির দরকার নেই।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)